ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ মহা ধুম ধামে বাল্য বিবাহ সম্পন্ন হয়ে গেল ঝিনাইদহ শহরের ক্যাডেট কলেজ সংলগ্ন গ্রাম চর মুরালিদহ গ্রামে। জানা গেছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর রোজ শুক্রবার চর মুরালিদহ গ্রামের আলম মন্ডলের ৪র্থ শ্রেণীর স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী মুক্তির (১৩) বিবাহ হয় হরিনাকুন্ডু উপজেলার সাধুখালি গ্রামের চতুর মন্ডলের ছেলে জুয়েলের সাথে।
অনুষ্ঠানে ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের অভিভাবক উপস্থিত ছিল। সুত্রে জানা গেছে, আলম মন্ডলের বাড়িতেই বিয়ের ব্যবস্থা করা হলে গ্রামের ব্যক্তি বাল্য বিবাহ আইনত অপরাধ একথা বললে, আলম মন্ডল মেয়ে মুক্তিকে নিয়ে তার বোনের বাড়িতে চলে যায় এবং সেখানেই মুক্তির বিবাহ সম্পন্ন হয়। মুক্তি মকিমপুর জসিম উদ্দিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী। এ প্রসঙ্গে মুক্তির সাথে কথা বললে সে জানায় আমার ফুপুর বাড়িতে জুয়েল নামে একটি ছেলের সাথে বিবাহ হয়েছে।
বিবাহে প্রায় ১৫ জন মত বরযাত্রী এসেছিল। কিন্ত কোন খাতা বা কাগজে স্বাক্ষর করেনি। ছেলে আমার ফুফাত বোনের দেবর হয়। বিবাহের ২ দিন আগে ফুপুর বাড়িতে ছেলের সাথে তার পরিচয় হয় বলে জানান। এ বাল্য বিবাহের প্রসঙ্গে মেয়ের পিতা আলম মন্ডল বলেন, মেয়ে আমার বোনের বাড়িতে গিয়েছিল সেখান থেকে ঐ ছেলের সাথে চলে যায়। তখন আমার বোনের স্বামী জিন্নার বাড়িতে বিয়ে দিয়ে দেয়। তারা আমাকে ফোনে বিষয়টি জানালে আমি তাদের উপর ছেড়ে দেই। এই ব্যাপারে আমি দায়ী নই। মেয়ের মা নিজেও মেয়ের বাল্য বিবাহের কথা স্বীকার করেছেন। মকিমপুর জসিম উদ্দিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুক্তির বাল্য বিবাহের ব্যাপারে কিছুই জানে না বলে সাংবাদিকদেও জানান। তবে তিনি মুক্তির বিবাহের কথা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, মুক্তি আমার স্কুলের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী, তার কিভাবে বিবাহ হবে?
এমটি নিউজ২৪ডটকম/আ শি/এএস