জয়পুরহাট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘খ’ ইউনিটের ভর্তির পরীক্ষায় এবার ৮৯.৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করেছে। পাস করেছে মাত্র ১১.৪৩ শতাংশ। এর মধ্যেই মেধাতালিকায় স্থান করে নিয়েছে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সুমাইয়া। এতে সে ভীষণ আনন্দিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন তার হাতের মুুঠোয়। কিন্তু দরিদ্রতার কারণে তার এই স্বপ্ন ভেস্তে যেতে বসেছে। পড়ালেখা চালানোর মতো সামর্থ্য তাদের পরিবারের নেই।
সুমাইয়া আক্তার জয়পুরহাট পৌরসভার নতুন হাট এলাকার রফিকুল ইসলামের মেয়ে। এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সুমাইয়া বড়। জন্ম থেকে সে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। কিন্তু পড়ালেখায় খুব মনোযোগী। দরিদ্রতা ও শারীরিক প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে জয়পুরহাট সরকারি মহিলা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে জিপিএ ৪.৬৭ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। বাবা রফিকুল ইসলাম একটি সিগারেট কম্পানিতে চাকরি করে কোনো রকমে সংসার চালান। লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারবেন না বলে মেয়েকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার ব্যাপারে রাজি ছিলেন না তিনি। কিন্তু অদম্য ইচ্ছার কারণে পরীক্ষায় অংশ নেয় সুমায়ইয়া। ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সম্মিলিত মেধাতালিকায় ৩৯৭ স্কোর করেছে সে।
সুমাইয়া বলে, ‘টাকার অভাবে কোচিং করতে পারিনি। বান্ধবীদের সরবরাহ করা কোচিংয়ের নোট পড়েছি। সেগুলো মুখস্থ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এই ফল করেছি। আমি উচ্চশিক্ষা নিতে চাই। সকলের সহযোগিতা চাই।’
বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। এটা শুনে সবাই খুশি হলেও আমি যে দুশ্চিন্তায় আছি। ঢাকায় রেখে মেয়েকে পড়ানোর মতো আর্থিক সমার্থ্য আমার নেই।’ -কালের কণ্ঠ।
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএ