বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৯, ০৬:১৩:২৬

আবরার হ'ত্যার যে আসামিকে চেনেই না তার গ্রামবাসী

আবরার হ'ত্যার যে আসামিকে চেনেই না তার গ্রামবাসী

জয়পুরহাট: বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হ'ত্যা মামলার অন্যতম আসামি জয়পুরহাট সদর উপজেলার কড়ই উত্তর পাড়ার হাফিজুর রহমানের ছেলে গ্রেফতারকৃত নাজমুস সাদাতকে চেনেই না গ্রামবাসী।

সাদাতের জন্মও হয়নি গ্রামে। তবে বাবা-মার সঙ্গে গ্রামে এসেছেন। তার বাবা-মা থাকেন রাজশাহীতে। বাবা রাজশাহীর হাজী মহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।

জানা গেছে, ছোটবেলা থেকেই মেধাবী সাদাত ৫ম ও ৮ম শ্রেণিতে বৃত্তিসহ ২০১৫ সালে রাজশাহী গভর্মেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুল থেকে গোল্ডেন প্লাসসহ রাজশাহী বোর্ডে ৩য় স্থান অর্জন করে। সবশেষ, ২০১৭ সালে, রাজশাহী কলেজ থেকে এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএসহ রাজশাহী বোর্ডে ৪র্থ স্থান অর্জন করে পরিবারসহ স্থানীয়দের অবাক করে দেয়। এরপর ঢাবি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, রুয়েট, কুয়েট এ ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগ পেলেও শেষ পর্যন্ত বুয়েটকেই বেছে নেন তিনি।

তার দাদা মওলানা আছির উদ্দিন স্থানীয় কড়ই নুরুল হুদা কামিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। দাদাসহ সাদাত এর দুই চাচা গ্রামে থাকেন। মেঝ চাচা আমিনুল ইসলাম ক্ষেতলাল উপজেলার হোপপীরহাট মাদ্রাসার শিক্ষক এবং ছোট চাচা ওবায়দুর রহমান কমিউনিটি ক্লিনিকে চাকরি করেন। বিত্তশালী পরিবারের সন্তান সাদাত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

কড়ই নুরুল হুদা কামিল মাদ্রাসার ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক আব্দুল মতিন জানান, ‘সাদাত এর বাবা হাফিজুর রহমান সম্পর্কে তার আপন চাচাতো ভাই। হাফিজুর রাজশাহীতে সরকারি স্কুলের শিক্ষকতা করেন। এর আগে, তিনি জয়পুরহাট রামদেও বাজলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। চাকরির কারণে হাফিজুর প্রথমে জয়পুরহাট শহরে এবং বর্তমানে রাজশাহীতে বসবাস করছেন। গ্রামে সবাই তাকে চিনলেও তার ছেলে সাদাতকে সেভাবে কেউ চেনে না। সাদাত তার দাদার বাড়ি খুব কম আসতো। গ্রামের মানুষ তাকে চিনতো সজিব নামে। গ্রেফতার হওয়ার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর দেখে, তারা আবরার হ'ত্যাকা'ণ্ডের সঙ্গে সাদাতের জড়িত থাকার বিষয়টি জানতে পারছেন।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে