মেহেরপুর : মসজিদের মাইকে গ্রামবাসীদের ডেকে নিয়ে গ্রামের বাগু দেওয়ান পীরের আখড়া গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এসময় সেই আখড়ায় আগুন দেয় গ্রামবাসী।
মেহেরপুরের বুড়িপোতা ইউনিয়নে পীরের আখড়া গুঁড়িয়ে দেয়ার সময় পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
গ্রামবাসী ১০ বিঘা জমিতে আবাদ করা বিভিন্ন ফলের গাছ কেটে ফেলে।
মঙ্গলবার ফজরের নামাজ শেষে বুড়িপোতা ইউনিয়নের গোভিপুর গ্রামের মসজিদে গ্রামবাসীকে ‘ইউনিয়ন পরিষদের পাশে বাগু দেওয়ান পীরের আখড়া উচ্ছেদে অংশ নিতে বলা হয়।
বলা হয়, পীরের আখড়া উচ্ছেদে গ্রামবাসীদের কেউ অংশ না নিলে তাকে দেড় হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।
এরপর হাজারের বেশি গ্রামবাসী একযোগে পীরের পাকা ‘ইবাদত খানা’ ও রান্নাঘর ভারী শাবল ও হাতুড়ি দিয়ে গুঁড়িয়ে ফেলে। তারা ১০ বিঘা জমিতে লাগানো আম, জাম, কাঁঠাল, পেঁপেসহ বিভিন্ন ধরনের গাছপালা কেটে নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মসজিদের মাইকে আখড়া ভাঙার ফেলার আহ্বান শুনে মেহেরপুর থানা থেকে একদল পুলিশ বাগু পীরের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেয়। কিন্তু গ্রামবাসীর লাঠি-সরকি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করলে পুলিশ পিছু হটে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত পুলিশের উপস্থিতিতেই পীরের আখড়া উচ্ছেদ করে গ্রামবাসী। এসময় ওই সড়ক দিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বুড়িপোতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজামালসহ গ্রামবাসীর দাবি, এ আখড়ায় বাউল সম্প্রদায় তাদের ধর্মপালনের নামে গাঁজার আসর বসায়। এতে এলাকার ছেলেরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। এজন্য গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে তার আস্তানা।
বাগু দেওয়ান পীরের খাদেম আলম হোসেন অভিযোগ করেন, পীরের আখড়ার জায়গা দখলে নিতেই পরিকল্পিতভাবে গ্রামবাসী হামলা চালিয়েছে। এতে কয়েক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
৯ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম