মেহেরপুর : প্রেমিকার কারণে স্কুলশিক্ষিকা মেয়ের আটকের খবরে হৃদরোগে আক্রান্ত মুক্তিযোদ্ধা বাবা আতাহার আলী এখন হাসপাতালে। সোমবার রাতে মেহেরপুর থানা থেকে ফেরার পথে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি।
এ সময় তাকে প্রথমে গাংনী এবং পরে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আতাহার আলী গাংনী পৌরসভাধীন চৌগাছার আমজাদ হোসেনের ছেলে।
আতাহার আলীর মেয়ে নওরীনকে সোমবার সকালে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নতার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর দিয়ে জিনের বাদশা ও অপহরণকারী পরিচয়ে তার প্রেমিকের চাঁদাবাজির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রাতে গাংনী থানায় নওরীনকে দেখতে যান তার বাবা আতাহার আলী। মেয়ের অপরাধের বিষয়ে পুলিশের কাছে জানতে চান। নওরীন নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। সেখান থেকে মেয়ের সঙ্গে দেখা করে চোখের পানি মুছতে মুছতে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি।
নওরীনের অভিযোগ সত্যি হলে বংশের মুখে চুনকালি পড়বে, এমন চিন্তায় ছিলেন তিনি। রিকশাযোগে বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তার সঙ্গে থাকা পরিবারের সদস্যরা তাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন এমন আশঙ্কায় চিকিৎসকদের পরামর্শে ওই রাতেই তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেনেয়া হয়।
আতাহার আলীর পরিবার জানিয়েছে, নওরীনের বিষয়টি পরিবারের কেউ মেনে নিতে পারছে না। এলাকায় তাদের সম্মান রয়েছে। এ ধরনের ঘটনায় গোটা পরিবার লজ্জিত। এ কারণেই আতাহার আলী অসুস্থ হয়ে পড়েন।
আজ রাতেই তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানায় তার পরিবার।
এদিকে চাঁদাবাজির মামলায় আজ বিকেলে নওরীনকে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। নওরীন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
৯ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম