সাইফুল ইসলাম : গুলশান, শোলাকিয়া ও কল্যাণপুরে জঙ্গি হামলার ঘটনার মূলহোতাদের মধ্যে মেজর জিয়া অন্যতম। তাকে ধরিয়ে দিতে পুলিশ প্রধান ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণার পর ফের আলোচনায় এসেছে দেশে জঙ্গিবাদের হোতা সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া।
বর্তমানে পলাতক থাকা মেজর জিয়ার মৌলভীবাজার শহরতলীর মোস্তফাপুরের গ্রামের বাড়িতে এখন নীরবতা। তার বাবার নাম সৈয়দ জিল্লুল হক।
গত রমজান মাসে ঈদের ৩/৪ দিন আগে জাকাত দিতে বাড়িতে এসে আবার ঢাকায় চলে যান জিয়া। এরপর থেকেই তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
মেজর জিয়ার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িটি খুবই নীরব। জিয়াউল হকের ঘরে তালা ঝোলানো। বাড়িতে কেয়ারটেকার ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু বাড়ির কেয়ারটেকার ভয়ে কাছে আসেনি। এ প্রতিবেদকের সঙ্গেও কোনও কথা বলেননি।
তবে জিয়াউল হকের দূর সম্পর্কের মামা পরিচয়ে মুহিব নামে একজন জানান, সৈয়দ জিয়াউল হকের বাবা-মা ঢাকায় থাকেন। আর জিয়াউল হক প্রায় ৭/৮ বছর ধরে বাড়িতে আসেননি। তার বাবা সৈয়দ জিল্লুল হক প্রায়ই ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে আসা-যাওয়া করেন বলেও জানান তিনি।
মুহিব আরও জানান, সৈয়দ জিয়াউল হক মৌলভীবাজার দি ফ্লাওয়ার্স কেজি অ্যান্ড হাইস্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে পরিবারের সঙ্গে তিনি ঢাকায় চলে যান। উত্তরায় হলিচাইল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজে এসএসসি পাস করার পর সিলেট ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা করেন। মেজর জিয়াউল হক তার বাবা-মায়ের একমাত্র পুত্র। আর জিয়াউল হকের দুই বোন রয়েছে।
জিয়াউল হকের প্রথম স্ত্রী তার মামাতো বোন ক্যান্সারে মারা যান জানিয়ে মুহিব বলেন, ‘প্রথম স্ত্রীর সংসারে একমাত্র পুত্র সন্তান। পরে আবার তিনি বিয়ে করেন পটুয়াখালীতে। এ সংসারেও দুটি সন্তান রয়েছে।’ তার আচরণ দেখে কারও মনে হয়নি যে তিনি জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১২ সালের জানুয়ারিতে সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের চেষ্টার সঙ্গে জড়িত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক তখনও তাকে নিয়ে মৌলভীবাজার কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছিল।
পুলিশ প্রধান এবার ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণায় এলাকার লোকজনের কৌতূহল আরও বেড়েছে। -বাংলা ট্রিবিউন
৬ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম