মৌলভীবাজার থেকে : মৌলভীবাজারে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী উৎসব ও ব্যবসায়ী সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা এখানে ইনভেস্ট করুন। আপনাদের আশ্বস্ত করছি। এখানে যতই আইনের দীর্ঘসূত্রতা থাকুক। সেটা যাতে বাধা না হয় তা দেখা হবে।’
২৯শে ডিসেম্বর বিকালে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উৎসব ও সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান বৃদ্ধির লক্ষ্যে দি মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি তিনদিনের এই উৎসবের আয়োজন করেছে। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. কামাল হোসেন। সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন ভারতের ত্রিপুরার বাণিজ্য, শিক্ষা, শিল্প ও আইনমন্ত্রী তপন চক্রবর্তী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ ও সদস্য মো. রফিকুর রহমান, সিলেটের বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার কামরুল আহসান, জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল, মহিলা এমপি সাবিহা নাহার বেগম, পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান, নারী উদ্যোক্তা আয়েশা আক্তার ডালিয়া, সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সালাউদ্দিন আলী আহমদ, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি কামাল উদ্দিন চৌধুরী, দৈনিক উত্তর ত্রিপুরার সম্পাদক ও মৈত্রী উৎসব উদযাপন পরিষদের সমন্বয়ক মোহিত পাল প্রমুখ।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বৃহস্পতিবার রাতে এ উৎসবে ভাষণে ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতিসহ অন্যান্য বিদ্যমান বিষয় আলোকপাত করে কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, ভারত-বাংলাদেশ আরবিট্রেশন সেন্টার গঠন করা যেতে পারে যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সমুদ্র সংক্রান্ত বিষয়ের সমস্যা সমাধানে দ্রুততার সঙ্গে উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।
একটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপন করা যেতে পারে যেখানে উভয় দেশের বিচারক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী এবং সংশ্লিষ্টদের নতুন আইন সম্পর্কে ধারাবাহিকভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া যায়। এর আগে প্রধান অতিথি ও অতিথিবৃন্দ স্থানীয় শহীদ মিনারে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
সম্মেলনে মৌলভীবাজার জেলার পর্যটন, খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদ এবং শিল্প সম্ভাবনার উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে অতিথিদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে। রাতে দুই দেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। এমজমিন
৩১ ডিসেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসবি