মৌলভীবাজার থেকে : আজ বিকালে পরিবহন শ্রমিক ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর এক সদস্যের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যার পর থেকে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে শ্রীমঙ্গলস্থ বিজিবি সেক্টর হেডকোয়াটার্স থেকে বেশ কয়েকটি গাড়ি নিয়ে শতাধিক বিজিবি সদস্য শ্রীমঙ্গল শহরে এসে লংকাকাণ্ড শুরু করে। লোকজনকে মারধর দোকানপাট ও যানবাহন ভাংচুর শুরু করে।
সারা শহরে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এসময় কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। গুলিবিদ্ধ তিনজন মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়েছেন। এরা হচ্ছেন; সুকুমার দাস, শাহ আলম ও পবিত্র পাল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার একটি রেস্তোরাঁয় বিজিবির এক কর্মকর্তার সঙ্গে স্থানীয় একজনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে এটি ধস্তাধস্তি হলে বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এ সময় বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষের সময় বিজিবি সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুড়েন এবং ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ দিকে চারজন বিজিবি সদস্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে দুজনকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনা সম্পর্কে জানার জন্য শ্রীমঙ্গলস্থ ৪৬ ব্যাটালিয়ানের কমান্ডিং অফিসার মেজর নাসিরের মোবাইল নাম্বারে বার বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ কার সম্ভব হয়নি। মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার মোঃ শাহজালালকে মোবাইল ফোনে চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও মোবাইল ধরেননি। এ খবর লেখা পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল শহরে আতঙ্ক অবস্থা বিরাজ করছে। শহরের রাস্তায় বিজিবি, পুলিশ ও র্যাব ছাড়া কোনো লোকজন নেই।
শ্রীমঙ্গল থেকে ফেসবুকে জাবেদ নামের একজন লেখেন, বিজিবির হঠাৎ আক্রমণে শ্রীমঙ্গলবাসী অসহায় হয়ে পড়েছেন, আমাদের বাঁচান। শ্রীমঙ্গল বাঁচান। শেখর চৌধুরী লিখেন, শ্রীমঙ্গল শহরে এই মুহূর্তে এসব কি হচ্ছে? বিজিবি বাহিনীর রণংদেহী ভাব! কি জন্য কেউ জানেন কি? যোগাযোগ বন্ধ। অফিসে আটকে আছি।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা চেয়ারম্যান রণধীর দেব জানিয়েছেন, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। বিজিবি সদস্যরা ব্যারাকে ফিরে গেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও অবস্থান করছে।
০৫ জানুয়ারি ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এসএস