আব্দুল হাকিম রাজ, মৌলভীবাজারঃ মৌলভীবাজারে যে দু’টি জঙ্গি আস্তানায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান চলছে, সে দু’টি বাড়ির মালিক একই ব্যাক্তি। তার নাম সাইফুল ইসলাম।পিতা-মাতার একমাত্র সন্তান সাইফুল ইসলাম ১৫/১৬ বছর বয়স থেকেই সপরিবারে লন্ডনে থাকেন।তার পিতা সাইফুলের জন্মের আগ থেকেই লন্ডনে বসবাস করলেও সাইফুল ইসলাম সেখানে স্থায়ী বসবাস শুরু করেন বিয়ের পর থেকেই।এর আগে তিনি তার মাতাকে নিয়ে লন্ডনে ভ্রমন ভিসায় আসা-যাওয়া করেছেন।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাত থেকে মৌলভীবাজার শহরের বড়হাট ও সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের সরকার বাজারের কাছে ফতেহপুর গ্রামের ওই দু’টি জঙ্গি আস্তানা ঘেরাও করে রেখেছে পুলিশ। বড়হাটের আস্তানাটি একটি ডুপ্লেক্স বাড়িতে, আর ফতেহপুরের আস্তানাটি একটি একতলা বাড়িতে।
স্থানীয়রা জানান, লন্ডনপ্রবাসী সাইফুলের বাড়ি দু’টি দেখভাল করেন আতিক মিয়া নামে তার এক আত্মীয়।আতিক মিয়া সাইফুল ইসলামের মামাত ভাই।বাড়ীতে সাইফুল ইসলামের বৃদ্ধা মা আর সাইফুল থাকতেন।তাদের দেখাশুনা করার জন্য ছোট বেলা থেকেই আতিক সাইফুল ইসলামের বাড়ীতে থেকে লেখাপড়া করেছে। তার যাবতীয় ব্য্যভার সাইফুলের পরিবারই বহন করত। কিন্তু তার কাছ থেকে কারা ওই দু’টি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলো তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। মৌলভীবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম জানান, দু’টি আস্তানাতেই জঙ্গিরা অবস্থান নিয়েছে। পুলিশ রাত থেকেই আস্তানা দু’টি ঘেরাও করে রাখে। বুধবার (২৯ মার্চ) ভোররাতের দিকে অভিযান শুরু করলে জঙ্গিরা গুলি করতে থাকে। সকালে একের পর এক গ্রেনেড ছুঁড়েও মারে তারা।
সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যেও দু’টি জঙ্গি আস্তানায় বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা যায়। সাড়ে ১০টার দিকে বড়হাটের আস্তানার ভেতরে বিকট শব্দে তিনটি গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা।
রাশেদুল ইসলাম বলেন, রাত থেকে কৌশলে আমরা এলাকাবাসীকে সরিয়ে নিতে পেরেছি। এখন জঙ্গিদের কব্জা করার সব চেষ্টা চলছে।
২৯ মার্চ ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/টিটি/পিএস