আব্দুল হাকিম রাজ, মৌলভীবাজার থেকে: মৌলভীবাজারে সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের নাসিরপুর গ্রামের লন্ডন প্রবাসী সাইফুল ইসলামের বাড়িতে থাকা জঙ্গি আস্তানার ৭-৮ জন জঙ্গি ‘আত্মহত্যা’ করেছে বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের ডিসি মনিরুল ইসলাম। নাসিরপুরের বাগানবাড়ির জঙ্গি আস্তানায় ৭-৮ জন জঙ্গির ছিন্নভিন্ন মরদেহ পড়ে আছে বলে প্রেস ব্রফিং এ জানান, পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
এছাড়া নাসিরপুরে সোয়াটের অভিযান ‘অপারেশন হিটব্যাক’ প্রাথমিকভাবে শেষ হয়েছে বলেও জানান তিনি।বৃহস্পতিবার (মার্চ ৩০) বিকেল ৫টায় ঘটনাস্থলের কাছেই মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১নং খলিলপুর ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবনে এই ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি (উপ মহাপরিদর্শক) কামরুল আহসান ও অন্যান্য সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তারা। মনিরুল বলেন, মৌলভীবাজারের নাসিরপুরের জঙ্গি আস্তানায় ড্রোন ব্যবহার করে আইইডি ও অন্যান্য বিস্ফোরক শনাক্ত করেন সোয়াট টিমের সদস্যরা।
ডিসি মনিরুল ইসলাম বলেন,নাসিরপুরে নিহত জঙ্গিরা নব্য জেএমবির। ভেতরের হতাহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে কি না সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয় বলে সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, ভেতরের দেহগুলো ছিন্নভিন্ন অবস্থায় রয়েছে। এজন্য তাদেরকে এই মুহূর্তে আলাদভাবে শনাক্ত করা মুশকিল। মনিরুল বলেন, আতিয়ামহলে অভিযানের সময় গত শনিবার সংঘটিত জোড়া বিস্ফোরণের সূত্র ধরেই কাউন্টার টেরোরিজম এর গোয়েন্দারা এই আস্তানার সন্ধান পায়। ওই বিস্ফোরণে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয়জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হন ৪৪ জন।
এছাড়া নাসিরপুরের এই আস্তানাটিকে জঙ্গিরা নিজেদের ‘হাইডআউট’ হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলো বলেও জানান মনিরুল। এদিকে নাসিরপুরের অভিযান শেষ হওয়ার পর এখন সোয়াট টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে মৌলভীবাজার পৌরশহরের বড়হাটে অবস্থিত অন্য জঙ্গি আস্তানার দিকে রওনা হবেন বলে জানান মনির।
৩০ মার্চ ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/টিটি/পিএস