মৌলভীবাজার থেকে: জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মৌলভীবাজারে ছোট ভাই মখলিছ মিয়াকে (৪৬) শরীরে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে বড় ভাই ছালিক মিয়ার বিরুদ্ধে।
গত ২৯ এপ্রিল রাত সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার গিয়াসনগর ইউনিয়নের মোকাম বাজারের নিতেস্বর গ্রামে মখলিছ মিয়ার গোয়াল ঘরে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (২ মে) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মখলিছ মিয়া মারা যান।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি সোহেল আহমদ এ তথ্য জানিয়েছেন। নিহত মখলিছ নিতেশ্বর গ্রামের মৃত ইছাক উল্লার ছেলে। এ ঘটনায় নিহত মখলিছের স্ত্রী ইয়াছমিন বেগম বাদী হয়ে ছালিক মিয়াসহ তিনজনকে আসামি করে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মখলিছ মিয়ার সঙ্গে তার ভাই ছালিক মিয়ার জমি সংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলছিল।
নিহত মখলিছ মিয়ার চাচা আরফান উল্ল্যা জানান, তিনি ঘুমন্ত অবস্থায় মানুষের চিৎকার শুনে বাইরে বেড়িয়ে এসে দেখতে পান মখলিছ জলন্ত শরীর নিয়ে তার
বাড়ির পাশের পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে তাকে বাঁচানোর জন্য চিৎকার করছেন। এসময় মখলিছ তাকে জানান, তাকে (মখলিছ) তার ভাই ছালিক মিয়া গোয়াল ঘরে জোরপূর্বক ঢুকিয়ে শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।
নিহতের চাচা আরও জানান, এ সময় স্থানীয়রা মখলিছকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে তাকে সিলেটেরে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের লোকজন
তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (২ মে) বিকালে মখলিছ মারা যান।
মৌলভীবাজার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক হারুনুর রশীদ বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে আমরা মখলিছ মিয়ার গোয়াল ঘরে আগুন লাগার বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করি।
তার বসত ঘরের বারান্দা থেকে একটি কন্টেইনার জব্দ করেছি। ধারণা করা হচ্ছে জব্দকৃত কন্টেইনারে পেট্রোল ছিল। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/এম.জে