সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:৫৪:৫১

বড়লেখায় মসজিদে তালা, উত্তেজিত মুসল্লিদের থানা ঘেরাও

বড়লেখায় মসজিদে তালা, উত্তেজিত মুসল্লিদের থানা ঘেরাও

মৌলভীবাজার থেকে : বড়লেখায় জলমহাল থেকে পানিসেচ না করার অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করাকে কেন্দ্র করে উপজেলার সুজানগর ইউপির বড়থল জামে মসজিদে তালা লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় উত্তেজিত মুসল্লিরা গতকাল দুপুরে থানা ঘেরাও করেছে। থানার ওসি মোহাম্মদ সহিদুর রহমান দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে উত্তেজিত মুসল্লিরা ঘেরাও প্রত্যাহার করে নেন। ফজরের নামাজ পড়তে গিয়ে মুসল্লিরা মসজিদের গেটে তালা দেখেন।

এ ব্যাপারে মোতায়াল্লি জামায়াত নেতা মাওলানা ফয়েজ উদ্দিন এক ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৩ ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। এদিকে আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে জাময়াত নেতার মামলার ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।

থানা পুলিশ ও মুসল্লিদের সূত্রে জানা গেছে, বড়থল জামে মসজিদ কমিটির মোতায়াল্লিসহ গ্রামবাসীর মধ্যে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তির মামলা মোকদ্দমা সংক্রান্ত পূর্ববিরোধ চলছিল। গ্রামের সরকারি বিল থেকে মেশিনে পানি সেচ না করার ব্যাপারে এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়।

এ অভিযোগে মসজিদের মোতায়াল্লিসহ কমিটির নেতৃবৃন্দ ও গ্রামবাসীর অনেকেই স্বাক্ষর করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষের এক ইউপি মেম্বার শুক্রবার জুমার নামাজ শুরুর পূর্ব মুহূর্তে মসজিদের মাইক কেড়ে নিয়ে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগে মসজিদের মোতায়াল্লি কেন স্বাক্ষর করলেন জানতে চায়।

তার স্বাক্ষরের কারণেই অন্যরা স্বাক্ষর করেছে দাবি করে ওই ব্যক্তি দুইদিনের মধ্যে এর সুষ্ঠু বিচার না করলে সে মসজিদে তালা ঝুলিয়ে  দেবে বলে হুমকি প্রদান করে। গতকাল ভোরে ফজরের নামাজ পড়তে গিয়ে মুসল্লিরা মসজিদে তালা ঝুলতে দেখেন। এতে মুসল্লিদের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়।

খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৭টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তালা ভেঙে মসজিদ খুলে দেয়। এদিকে মসজিদে তালা ঝুলিয়ে দেয়া দুষ্কৃতিকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে দুপুরে বড়থল জামে মসজিদের মোতায়াল্লি ও ইউপি জামায়াতের আমির কাজী ফয়েজ উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ রাজিদ আলী, সদস্য আবুল আছ, মিনহাজুর রহমান, তাজির উদ্দিন, আলাল উদ্দিন, কামিল হোসেন, ফজলু মিয়া ও তাজ উদ্দিন শেখসহ পঞ্চায়েতের দুই শতাধিক মুসল্লি থানা কমপ্লেক্স ঘেরাও করেন।

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদ্দিন ও সুজানগর ইউপি চেয়ারম্যান নছিব আলীর উপস্থিতিতে থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ সহিদুর রহমান তালা ঝুলানোদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার আশ্বাস দিলে উত্তেজিত মুসল্লিরা ঘেরাও কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ সহিদুর রহমান জানান, মসজিদে তালা দেয়া জঘন্য অপরাধ। খবর পেয়েই পুলিশ তালা ভেঙে দিয়েছে। মসজিদের মোতায়াল্লি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। এমজমিন

এমটিনিউজ/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে