মৌলভীবাজার থেকে : বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় অবস্থান কর্মসূচি চলাকালীন বিএনপি-পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় ৫ পুলিশ আহত হয়।
এঘটনায় উপস্থিত অতি উৎসাহী বিএনপি নেতাকর্মীদের দায়ী করলেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সজল। ১৩ ফেব্রুয়ারি দিবাগত মধ্যরাতে তার নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে দাবি করেন ওই ঘটনায় পুলিশ নির্দোষ।
তিনি তার স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, খালেদা জিয়ার জেল, আবেদ রাজা সাহেবের আমরণ অনশন, দেশ বিদেশের বিএনপি’র হাজারও নেতাকর্মীর আহাজারির ফসল ছিলো ওই কর্মসূচি। কিন্তু অতি উৎসাহী মাত্র ২/১ জনের কারনে আমাদের সমস্ত অর্জন আজ নিঃশেষ হয়ে গেলো। আমরা কি আর পারবো অনশন কর্মসূচি পালন করতে? আদৌকি কুলাউড়ায় কর্মসূচি পালন করতে পারবে বিএনপি।
তিনি ওই ঘটনায় মামলার রুজু হওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, মামলা হওয়ার কথা ছিলো না। ২/১ জন অতি উৎসাহীর কারনে এমনটা হয়েছে। এদেরকে চিহিৃত করে ব্যবস্থা না নিলে বিএনপির ক্ষতি ছাড়া লাভ হবে না।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ফেইসবুক স্ট্যাটাস দেখে আপনারা যেভাবে খুশি হচ্ছেন আর বাহবা দিচ্ছেন তাতে বিএনপির ১২টা বাজছে। আপনারা কিন্তু বুঝতেছেন না, কাল থেকে বুঝবেন। দেশ বিদেশের সবার প্রতি অনুরোধ, আজকের মামলাটি কেন হলো অনুসন্ধান করেন, কেউ কেউ আন্দোলনে আসে নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য, দলের জন্য নয়।
শেষে তিনি উল্লেখ করেন, বিবেকের তাড়নায় লিখলাম, ভুল বুঝবেন না, মনে কোন প্রশ্ন আসলে সরাসরি ফোন করবেন, আজকের ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী নয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে তার এই স্ট্যাটাসে আলোচনা-সমালোচনা ঝড় বইছে। স্থানীয় এবং প্রবাসে অবস্থানরত বিএনপি নেতাকর্মীরা ওই স্ট্যাটাসের কমেন্টে বিরুপ মন্তব্য করছেন। কেউ কেউ এই স্ট্যাটাস মুছে ফেলার জন্য অনুরোধ করছেন। আবার কেউ কেউ সাধুবাদ জানাচ্ছেন।
এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা মো. শরীফুজ্জামান তপন কমেন্টে উল্লেখ করেন, যেদিন এই কর্মীরা বাড়াবাড়ি করেনি ওতো মজিদ ভাইসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হলো, আপনার এই স্ট্যাটাস বর্তমান চলমান আন্দোলনের জন্য সঠিক হয়নি, পৃথিবীর ইতিহাসে কোন আপোষকামী শক্তি বিজয়ী হয়নি, আমি এর বেশী কিছু লিখতে পারিনা কারন মাঠে আমি নেই আমি বিদেশে তাই জ্ঞান দেয়া হয় না। তবে আমি এই বিদেশের আদালতে আওয়ামীলীগের মামলায় সাজা খেটেছি, ধৈর্য্য ধরুন পরিস্থিতি সামলে নিয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় আন্দোলন করুন টাকা পয়সাসহ সার্বিক সহযোগীতার আশ্বাস দিচ্ছি।
শামীম নামে একজন কমেন্টে বলেন, অনেক পরিশ্রমের ফসল গতকাল কুলাউড়া বিএনপি পরিবারের সকল বড় ভাইদের( নেতাগন) একসাথে মিলিত হয়েছিলেন বিএনপি + মা খালেদার বিপদে। প্রশাসনের ভুমিকা ভালো ছিল। অতি উৎসাহীদের কারনে সব সমগ্র বিএনপি এক হওয়া সব ম্লান হয়ে গেলো।
তবে মহিউদ্দিন খান নামে এক কর্মী লিখেন, প্লিজ ভাই, আপনার এই কথাগুলা সংশোধন করুন। অনেকদিন পর দেখলাম কুলাউড়া বি.এন.পি একসাথে সংগ্রাম করতেছে। ওদের মনোবলে চিড় ধরাবেন না। আপনার কাছে এই অনুরোধ রইল। আর আপনি ওদের থেকে বয়সে অনেক বড়।
এমটিনিউজ/এসএস