নওগাঁ : যুগের সাথে পাল্টে যাচ্ছে সব। বিজ্ঞানের কত কিছুই না আবিষ্কার। কিন্তু এই পোস্ট অফিসের চেহারা দেখলে মনে হবে আমরা সেই মান্দাতার আমলেই আছি।
শত বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী যোগাযোগ মাধ্যম ডাক বিভাগ। একদা স্বজনদের কাছে চিঠিপত্রের মাধ্যমে খবরা-খবর আদান-প্রদান হতো পোস্ট অফিসের মাধ্যমে।
ডিজিটাল যুগে নিত্যনতুন যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতিযোগিতায় সরকারি ডাক বিভাগের কার্যক্রম হারিয়ে যেতে বসলেও আজো জোড়াতালি দিয়ে টিকে আছে ডাক বিভাগের এই পোস্ট অফিসটি।।
গ্রামীণ ডাকঘরগুলোর কোনো উন্নয়নের পদক্ষেপ না নেয়ায় জরাজীর্ণ নওগাঁর রানীনগর উপজেলার আবাদপুকুর ডাকঘরটি। নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলার আবাদপুকুর শাখা পোস্ট অফিসে উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। দীর্ঘদিনের পুরনো এই পোষ্ট অফিসটি মাটির তৈরি ঘরে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে চলছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন এই পোস্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।
এ ব্যাপারে পোস্টমাস্টার মো. এমদাদুল আলম (৪৫) গণমাধ্যমকে জানান, এখান থেকে চিঠি আদান-প্রদান, ম্যানিঅর্ডার ইস্যু, সেভিংস অ্যাকাউন্টসহ একটি পোষ্ট অফিসের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হয়। দীর্ঘদিন ধরে পোস্ট অফিসটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। পর্যাপ্ত জনবল থাকলেও পোস্ট অফিসের নতুন কোনো ভবন তৈরি না করায় ঝুঁকিপূর্ণ মাটির তৈরি ঘরেই চালাতে হচ্ছে সব কার্যক্রম। এখানে নেই কোনো প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র। নেই কোনো ডিজিটালাইজড যন্ত্রাংশ ।
তিনি জানান, বর্ষা মৌসুমে ঘরের টিনের ছাউনি দিয়ে অঝরে বৃষ্টির পানি পড়ে। জরুরি কাগজপত্রাদি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ আস্তে আস্তে পোস্ট অফিসের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এই পোস্ট অফিসকে আধুনিক ডিজিটাল পোস্ট অফিসে রূপান্তর করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
১৪ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর