নওগাঁ : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে নওগাঁ থেকে চারজন অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও একজনের সঠিক বলে বিবেচিত হয়েছে। আর বাদ পড়েছেন হেভিওয়েট প্রার্থী বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফজলে হুদা বাবুলসহ ৩ জন।
জানা গেছে, বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ছিল সারাদেশের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময়। এ সময় উৎসমুখর পরিবেশে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা। জেলায় মোট ৫১ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এদের মধ্যে ৪৭ জন স্বশরীরে এবং ৪ জন অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তবে অনলাইনে চারজন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও একজনের সঠিক বলে বিবেচিত হয়েছে। বাকি ৩ জনেরটা বাদ পড়েছে।
এদের মধ্যে নওগাঁ-৫ (সদর) আসনের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাদ পড়েছেন। তবে তিনি আগেই কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া বাদপড়া বাকি দু’জন হলেন, নওগাঁ-৩ (বদলগাছী-মহাদেবপুর) আসনের ফজলে হুদা বাবুল এবং মামুন।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইসির ওয়েবসাইট থেকে মনোনয়নপত্র নামানো হলে সেগুলো ফাঁকা পাওয়া যায়। যোগাযোগ করা হলে জেলা নির্বাচন অফিসার টেলিফোনে ফজলে হুদা বাবুল ও মামুনকে জানান তাদের মনোনয়নপত্র আর গ্রহণ করা হবে না।
এদিকে নওগাঁ-৩ (বদলগাছী-মহাদেবপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন দেয়া হয়েছে নওগাঁ জেলা বিএনপির সদস্য রবিউল আলম বুলেট ও সাবেক ডেপুটি স্পিকারের ছেলে পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী জনিকে।
বিএনপির দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ফজুলে হুদা বাবুল। কিন্তু এ ত্যাগী নেতাকে দল থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। আবার অনলাইনেও তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। এতে একদিকে যেমন তার কপাল পুড়ল। অপরদিকে বিএনপি এ আসন হারাতে পারে বলে মনে করছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
নওগাঁ জেলা নির্বাচন অফিসার মো. শাহিনুর ইসলাম প্রামাণিক বলেন, অনলাইনে চারজন ফরম পাঠিয়েছেন। এরমধ্যে তিনটি ফরম ফাঁকা থাকায় তা গ্রহণ করা হয়নি। অর্থ্যাৎ তারা ফরম পূরণ না করেই সাবমিট করেছেন। নির্বাচনী সার্ভারের (ওয়েবসাইট) সমস্যার বিষয়টি আমরা বলতে পারব না।-জাগো নিউজ