এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ছাত্রীদের আপত্তিকর মেসেজ পাঠানোসহ অবৈধ সম্পর্কে জড়াতে চাপ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন সময় এসব প্রস্তাব দিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে টেক্সট করতেন শিক্ষক। শিক্ষকের এমন টেক্সটের স্ক্রিনশট ফাঁস হয়েছে। সেই স্ক্রিনশট আবার ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে কলেজের গেটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ওই স্ক্রিনশট ও গেটে ঝুলিয়ে রাখা ব্যানার ভাইরাল হয়েছে।
নওগাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সামসুল হকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ। সম্প্রতি এসংক্রান্ত বিভিন্ন স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এসব স্ক্রিনশটে ছাত্রীদের ওড়না ছাড়াসহ বিভিন্ন সাজে দেখার আবদার করতে দেখা গেছে অধ্যক্ষ সামসুল হককে।
ভাইরাল হওয়া স্ক্রিনশটগুলো যাচাই সাপেক্ষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
স্ক্রিনশটগুলোতে দেখা যায়, ওই শিক্ষার্থীর সৌন্দর্যের প্রশংসা করেন শিক্ষক সামসুল। এরপর তার কাছে ছবি চান। একপর্যায়ে ওড়না ছাড়া ছবি চাইতে দেখা যায় তাকে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, মেসেঞ্জারের এই কথোপকথন দুই বছর আগের। ওই সময়ে বিএমসি মহিলা কলেজে অধ্যক্ষের দায়িত্বে ছিলেন সামসুল হক স্যার। সেখানে একাদশ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় কলেজে যাতায়াতের সময় প্রায়ই উনি (অধ্যক্ষ) আমার সঙ্গে কথা বলতেন। এভাবে একদিন আমার সঙ্গে ফেসবুকের বন্ধু তালিকায় যুক্ত হন। এরপর ফেসবুকে কোনো ছবি স্টোরি দিলে অশ্লীল মন্তব্য করতেন। একপর্যায়ে উনি আমার কাছ থেকে ওড়না ছাড়া ছবি চান। ওই মুহূর্তে তাকে ব্লক করে স্ক্রিনশট রেখে দিই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সামসুল হকের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ ছাড়া কলেজের একাধিক শিক্ষার্থীকে কুরুচি ও ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এক স্ক্রিনশটে দেখা যায়, এক ছাত্রীকে অধ্যাপক সামসুল হক বলেন, ‘নতুন বউ সাজে দেখা করলে না?’। উত্তরে ছাত্রী বলেন, ‘স্যার ভীষণ ব্যস্ত ছিলাম। স্টল থেকে বের হওয়ার সময় পাইনি। আজকে আমাদের স্টলে সবচেয়ে বেশি সেল হয়েছে।’ এরপর সামসুল হক লেখেন, ‘আমি তোমার বিউটি (সৌন্দর্য) থেকে বঞ্চিত হলাম।’