নাটোর: এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছে নাটোরের বড়াইগ্রামের জান্নাতুল ফেরদৌস টুম্পা। বিচারক হওয়ার স্বপ্ন তার। আর তা পূরণ করতে কলেজেও ভর্তি হয় সে। কিন্তু অসু'স্থ বাবার ঘা'ড়ে যে ঋ'ণের কি'স্তি পরিশো'ধের বো'ঝা। তাই বাবাকে সাহায্য করতে হোটেলে কাজ নিয়েছে টুম্পা। ফলে নিয়মিত কলেজে যেতে পারছে না।
দৈনিক কালের কন্ঠের আজকের সংখ্যায় প্রকাশিত একটি প্রতিবে'দনে টুম্পার জীবন সং'গ্রামের গল্প উঠে এসেছে। টুম্পা খলিশাডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী এবং মেরিগাছা গ্রামের ভ্যানচালক আব্দুর রহিমের মেয়ে। গত বছর পাঁচবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে জিপিএ ৫ পেয়ে এসএসসি পাস করেছে সে। আরও পড়ুন : করোনাভাইরাসে আক্রা'ন্ত হলে মানুষ কখন মা'রা যায়? চলুন জেনে নেয়া যাক-
আব্দুর রহিম জানান, তাঁর দুই মেয়ে আর এক ছেলের মধ্যে টুম্পা বড়। ছোট মেয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। ছেলেটার বয়স মাত্র চার মাস। য'ক্ষ্মা হওয়ার পর থেকে আগের মতো আর কাজ করতে পারেন না। দীর্ঘদিন ধ'রে অন্যের জমিতে বাড়ি করে তু'লে থাকছেন। তাই বাড়ি করার জন্য সম্প্রতি ৪ শতাংশ জমি কিনেছেন। এ জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে ঋণ নিয়েছেন তিনি। কিন্তু ঋণের কি'স্তি পরিশো'ধ করতে গিয়ে বি'পা'কে পড়েছেন। ভ্যান চালিয়ে যা আয় হয় তা দিয়ে কিস্তি পরিশো'ধ করা আর সংসার চা'লাতে পারছিলেন না। মেয়েদের পড়ার খরচ দেওয়া তো দূরের কথা। মাসুম বিল্লা মিষ্টান্ন ভাণ্ডার অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক মহাসিন বলেন, ‘মেয়েটিকে দৈনিক মজুরি দেওয়া হয় ১৫০ টাকা।’
টুম্পা জানায়, দিনে আট ঘণ্টা করে কাজ করে সে। আর রাতে দুই ঘণ্টা করে পড়ে।খলিশাডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আ ন ম ফরিদুজ্জামান বলেন, ‘মেয়েটি (টুম্পা) অনেক মেধাবী।