নাটোরের নলডাঙ্গায় এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে ১৫ মিনিট দেরিতে আসায় ছাতারভাগ স্কুল এন্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা দিতে দেয়নি শহীদ নজমুল হক সরকারী ডিগ্রি কলেজের কেন্দ্র সচিব।
বৃহস্পতিবার উপজেলার শহীদ নজমুল হক সরকারী ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কামাল সরদার উপজেলার ধনকড়া গ্রামের দরিদ্র কৃষক পরিবারের ছেলে। তার বাবার নাম শহিদুল সরদার। তবে পরীক্ষা কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষের দাবি ওই পরীক্ষার্থী ২০ মিনিট পর পরীক্ষা কেন্দ্রে আসায় তাকে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে দেওয়া হয়নি।
জানা যায়, উপজেলার শহীদ নজমুল হক সরকারী কলেজে গত ২ ডিসেম্বর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা শুরু হয়। তবে বিভিন্ন বিভাগের অনেক বিষয়ে পরীক্ষা শুরু হলেও ছাতারভাগ স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী কামাল সরদারের পরীক্ষা বৃহস্পতিবার ইসলামের ইতিহাস প্রথম পত্রের প্রথম পরীক্ষা ছিল। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় জীবিকার তাগিদে নাটোর শহরে রড মিস্ত্রির কাজ করতেন কামাল।
পরীক্ষার্থী কামাল বৃহস্পতিবার সকালে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য নাটোরের হয়রতপুর থেকে রওনা হন। কিন্ত গাড়ি না পাওয়ায় পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে ১৫ মিনিট দেরি হয়। এই দেরির কারন দেখিয়ে শহীদ নজমুল হক সরকারী কলেজের কেন্দ্র সচিব ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আছির উদ্দিন পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করতে দেয়নি।
ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী কামাল সরদার বলেন, আমি গরীব কৃষক পরিবার সন্তান। আমরা ৬ ভাই বোনের মধ্যে আমি চতুর্থ। আমাকে দিন হাজিরা দিয়ে রড মিস্ত্রির কাজ করে বাবার সহযোগিতা করি। এ কারনে আমি নাটোর থেকে আসতে পরীক্ষা কেন্দ্রে আমার ১৫ মিনিট দেরি হয় এই কারনে আমাকে পরীক্ষা দিতে দেয়নি।
শহীদ নজমুল হক সরকারী ডিগ্রি কলেজের কেন্দ্র সচিব ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আছির উদ্দিন বলেন, এই কেন্দ্রে ৭টি কলেজের ৩২১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী, পরীক্ষা প্রস্ততিমূলক সভায় কার্যবিবরণীতে পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট পরে কোন পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষাকক্ষে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার বিধান নেই। এই কারনে ওই পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।