নাটোর থেকে: নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) লিটন কুমার সাহা বলেছেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। শিক্ষিকা ও ছাত্রের প্রেমের কাহিনী ছড়িয়ে পড়লে দুজনই বিষয়টিকে পজিটিভ নিয়েছিলেন। কিন্তু সামাজিক, পারিবারিক এবং কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিব'ন্ধকতায় তাদের মধ্যে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়।
সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি বহুল আলোচিত-সমালোচিত হয়। মানসিক চাপের কারণেই তিনি আত্মহ'ত্যা করেছেন কিনা তা তদন্ত করে দেখছি বলে জানিয়েছেন নাটোরের পুলিশ সুপার। রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে ওই শিক্ষিকার ম'রদেহ উ'দ্ধারের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পুলিশ সুপার।
এর আগে সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকার ভাড়াবাসা থেকে তার ম'রদেহ উ'দ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার স্বামীকে আ'টক করেছে পুলিশ। শিক্ষিকা খায়রুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে এবং উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।
নাটোরের পুলিশ সুপার বলেন, তদন্ত করলেই সত্যিকার কারণ উদঘা'টন হবে। এই ঘটনা কঠিনভাবে তদ'ন্ত করা হবে। মহিলা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছেন। তারা সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করছে। সংশ্লিষ্ট অন্য বা'হি'নীর সদস্যরাও তদ'ন্ত করবে।
প্রসঙ্গত, এক বছর আগে ফেসবুকে শিক্ষিকা নাহারের সঙ্গে একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের কলেজছাত্র মামুনের পরিচয় হয়। পরে তাদের দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।
২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের ৬ মাস পর তাদের সম্পর্ক জানাজানি হলে ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার থেকে বিয়ে মেনে নেয়নি।