এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : মায়ের হাতের রান্না করা খাবার খেয়ে ফিমা খাতুন (১৫) ও ফারিয়া খাতুন (১০) নামের দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাতে নাটোরের সিংড়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল মালকুড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহত ফিমা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে নাটোর মর্গে প্রেরণ করেছে সিংড়া থানা পুলিশ। অপরদিকে নিহতের ছোট বোন ফারিয়া খাতুনের মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয়েছে।
মৃত ফিমা খাতুন বাদোপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম এবং তার ছোট বোন ফারিয়া খাতুন মালকুড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। তারা মালকুড় গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী নাজিম উদ্দিনের মেয়ে।
খাদ্যে বিষক্রিয়া এই ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ ও এলাকাবাসী প্রাথমিক ভাবে ধারণ করেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ও নিহতের সহপাঠীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্থানীয় ১নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মুকুল হোসেন বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার রাতে লেখাপড়া শেষে প্রবাসী নাজিম উদ্দিনের দুই মেয়ে রাতের খাবার খায়। পরে হঠাৎ তারা পেটে ব্যথা অনুভব করতে থাকে। এক পর্যায়ে দুই বোনের বমন শুরু হয়ে অস্থিরতা বোধ করলে মাঝরাতে তাদেরকে পার্শ্ববর্তী নন্দীগ্রাম থানার বিজরুল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে ভর্তি না করে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কিন্তু পথিমধ্যেই ফিমা খাতুনের মৃত্যু হয়। আর ফারিয়া খাতুনকে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টায় তারও মৃত্যু হয়।
মৃতদের মা আকলিমা খাতুন বলেন, রাতে দুই মেয়েকে ভাতের সঙ্গে টাকি মাছের ভর্তা দিয়েছিলাম। খাবার খাওয়ার পরই মেয়েরা পেটের ব্যথায় কাতর হয়ে বমি করতে করতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আর অপর ছোট মেয়ে সিনা খাতুন (৪) দাদির সঙ্গে বেড়াতে যাওয়ায় বেঁচে রয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, রান্না ঘরের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে টাকি মাছের ভর্তায় কোনো টিকটিকি অথবা বিষক্রিয়া পড়ে এই ঘটনা ঘটেছে।
সিংড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে খাবারে কোনো বিষক্রিয়ার কারণে তাদের মৃত্যু হতে পারে।