রাঙামাটি : নতুন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে শনিবার প্রথম নির্বাচন হচ্ছে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি পৌরসভায়। এ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সকাল ৮টা থেকে এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
দলীয় প্রতীকের এ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও স্বতন্ত্র একজন প্রার্থী। ভোটাররা হিসাব-নিকাশ করছেন বিজয় নিয়ে। তাদের প্রশ্ন নতুন ইসির অধীনে প্রথম নির্বাচনে কে বিজয়ী হচ্ছেন? নৌকা, ধানের শীষ নাকি স্বতন্ত্র প্রার্থী? প্রার্থীদের প্রত্যাশা সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ হবে এ পৌরসভায়।
নতুন ইসির অধীনে প্রথম এ নির্বাচনকে গুরুত্বের সঙ্গেই দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী। তিনি এ নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি সফরও করেছেন। মতবিনিময় করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গেও।
এদিকে নির্বাচনী এলাকায় চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শুক্রবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় ভোট কেন্দ্রগুলোতে ব্যালটসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছানো হয়েছে। এ ছাড়া ভোটারদের নিরাপত্তায় মাঠে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এ বিষয়ে রাঙামাটি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মো. নাজিম উদ্দিন জানান, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণের সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এ জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে।
বাঘাইছড়ি থানা পুলিশের ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম চৌধুরী জানান, পৌরসভা নির্বাচন ঘিরে প্রশাসনের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা রয়েছে। এ ছাড়াও দুই প্লাটুন বিজিবি টহল দিচ্ছে। এক প্লাটুন র্যাব মোতায়েন থাকবে। যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিরাপত্তা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।
২০০৪ সালে ভারতের মিজোরাম রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকা রাঙামাটির বাঘাইছড়ির ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয় এ পৌরসভা। এ পৌরসভাটির এটা দ্বিতীয় নির্বাচন। এ নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন- আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. জাফর আলী খান (নৌকা), বিএনপির মো. ওমর আলী (ধানের শীষ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুর রহমান (মোবাইল ফোন)।
অন্যদিকে, ৯ নং ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৫ এবং তিনটি সংরক্ষিত মহিলা আসনে ছয় প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১০ হাজার ১৭৭। নির্বাচনে ৯টি কেন্দ্রের ৩৩ বুথে ভোটগ্রহণ চলছে।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনে (ইসি সদ্য নিয়াগ পাওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা ও চার নির্বাচন কমিশনার শপথ নিয়েছেন। চার নির্বাচন কমিশনার হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, সাবেক সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ কবিতা খানম ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদত্ হোসেন চৌধুরী। তাদের শপথ গ্রহণের পর এটিই প্রথম নির্বাচন। -জাগো নিউজ।
১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম