নিউজ ডেস্ক: পছন্দের মাংসের তালিকায় কম বেশি সবারই পছন্দ গরুর মাংস। কিন্তু গরুর মাংসের দাম যে সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে বহু আগে থেকে। এমন সময়ে এলো সুখবর। গোখাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি ও পোয়াল (খর)-এর চরম অভাব দেখা দেয়ায় রংপুরের কাউনিয়ায় গরুর বাজারমূল্যে ধস নেমেছে। ফলে উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৩২০ টাকায়। অথচ এক মাস আগেও প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হতো ৪৮০ থেকে ৪৯০ টাকা।
মজার ব্যাপার, কাউনিয়া উপজেলার প্রায় সর্বত্রই এখন গরুর মাংস বিক্রির জন্য দিনভর মাইকিং করা হচ্ছে। হঠাৎ করে গরুর দাম কমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান গরু খামারি উপজেলার বনগ্রামের গোপাল চন্দ্র। তিনি জানান, যে গরুটির মূল্য গত এক মাস আগেও ৭০ হাজার টাকা ছিল, সেটির এখনকার বাজারমূল্য ৫০ হাজার থেকে ৫৫ হাজার টাকা। আর সে কারণেই গরুর মাংসের দাম কেজিপ্রতি প্রায় ২০০ টাকা কমে গেছে। কারণ হিসেবে তিনি জানান, গত বন্যায় উপজেলার অনেকগুলো এলাকায় বন্যা হয় আর সে কারণে ওই এলাকার গরু খামারিদের স্টক করা গোখাদ্য সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়া হঠাৎ করে গরুর ফিড জাতীয় খাবারের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় কাউনিয়া উপজেলার ২২টি চরাঞ্চলের গরু খামারিরা তাদের গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন।
গরু ব্যবসায়ী মজিবর রহমান জানান, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার চরাঞ্চলের গরু খামারিদের গরু কাউনিয়া উপজেলায় সবসময় আসে। তবে এখন একটু বেশি পরিমাণ গরু আসার কারণে কাউনিয়া উপজেলায় গরুর দাম পড়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া বর্তমানে কাউনিয়ার হাট-বাজারগুলোতে দেশের অন্য এলাকা থেকে গরু ক্রেতা না আসায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি জানান, অল্প কিছু দিনের মধ্যে গরুর প্রধান খাবার খর কৃষকের ঘরে আসবে। তখন গরুর বাজারের এ অচলাবস্থার উন্নতি হবে।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস