সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের কৃষকের প্রাণ বোরো ধান দ্রু'ত ঘরে তু'লতে ও কৃষকদের উৎসাহ প্রদান করতে রাতে হাওরে গিয়ে ধান কা'টলেন জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যান।
বৃহস্পতিবার রাতে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের জলভাঙ্গা হাওরে এক কৃষকের ধান কে'টে দেন তারা। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন নাহার রুমা, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপলকেও কা'স্তে হাতে নিয়ে ধান কা'টতে দেখা যায়।
জানা যায়, করোনাভাইরাস মো'কাবিলার পাশাপশি আগাম বন্যার হাত থেকে সুনামগঞ্জের বোরো ফসলর'ক্ষার ক্ষেত্রে দিনের বেলার পাশাপাশি রাতেও ধান কাটার জন্য কৃষক ও শ্রমিকদের উৎসাহ প্রদানের ক্ষেত্রে এ উদ্যোগ নিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রেরিত ৪০টি কম্বাইন হারভে'স্টারের মাধ্যমে যেন কৃষকরা দ্রুত ধান কা'টতে পারেন সে জন্যও এ রাতের বেলায় ধান কা'টার জন্য কৃষকদের উৎসাহ প্রদান করা হয়।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন নাহার রুমা বলেন, যেহেতু আমরা একটি সত'র্কবার্তা পেয়েছি তাই আমরা চাচ্ছি না কৃষকদের ধান ন'ষ্ট হোক। তাছাড়া সদর উপজেলায় ১১টি ক'ম্বাইন হারভে'স্টার দেয়া হয়েছে আমরা চাচ্ছি সেগুলোর ব্যবহার করে এবং হাত দিয়ে কাজ করে দ্রু'ত হাওরের ধানগুলো কে'টে নেয়ার। এতে করে বন্যা আসলেও কৃষকের ফসল ঘরে উঠে যাবে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের ৪০টি কম্বাইন হারে'ভস্টার দিয়েছেন এবং এগুলো দিনে আট ঘণ্টা চলার পর বিরতি দিতে হয়, তাই চিন্তা আসলো যেহেতু দিনের বেলায় কাজ হচ্ছে এবং বিকেলে দিকে য'ন্ত্রটি বিরতি দেয়া হচ্ছে তাহলে সেটি রাতেও ব্যবহার করা যাবে। বন্যার আগে যদি আমরা শতভাগ ধান ঘরে তু'লে ফে'লতে পারি তাহলে কৃষকরা শান্তিতে থাকতে পারবেন।