রাহিব ফয়ছল, সিলেট প্রতিনিধি: মোঃ জাকির নায়েক। তিনি সিলেট-১ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী। নিজেরে পরিচয় দিচ্ছেন মাদ্রাসাতুল মারেফার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল, এ.এম জি.জি ডি.জি জাকির নায়ক অফ বাংলাদেশ, অলরাউন্ডার জাকির নায়েক হিসেবে।
এমনই একটি ভিজিটিং কার্ড নিয়ে সিলেট শহরে তোলপাড় চলছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এই জাকির নায়েকের ভিজিটিং কার্ড এখন মানুষের হাতে হাতে। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এনিয়ে তোলপাড় চলছে। কিন্তু তিনি যোগাযোগের জন্য ভিজিটিং কার্ডে যে মোবাইল নাম্বারটি দিয়েছেন সেটি তার নিজের নয়। এনিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ভিজিটিং কার্ডে উল্লেখিত নাম্বারে জাকির নায়েকের খোঁজে যোগাযোগ করা হলে পাওয়া যায় ভিন্ন তথ্য। ফোন রিসিভ করেন মিজানুর রহমান (১৬) নামে সদ্য সমাপ্ত এক দাখিল পরিক্ষার্থী। তিনি বিয়ানীবাজার উপজেলার মতিউড়া গ্রামের ফরমান আলীর পুত্র। সদ্য সমাপ্ত দাখিল পরিক্ষার্থী মাতিউড়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা থেকে পরিক্ষা দিয়েছেন মিজান।
মিজান জানান, এটি তার সেলফোন নাম্বার। তবে এটি জাকির নায়েকের ভিজিটিং কার্ডে এলো কিভাবে এমন প্রশ্নে উত্তর সভাবত আসার কথাই।
মিজান আরো জানান, গত কিছুদিন আগে নগরীর টিলাগড়ে এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে আসেন তিনি। এখানে এসে পরিচয় হয় এক রিক্সা চালকের সাথে। রিক্সা চালক নিজেকে জাকির নায়েক হিসেবে পরিচয় দেন। এমনকি তিনি টিলাগড় মিরাপাড়া এলাকায় থাকেন বলেও জানান মিজানকে।
চলার পথে প্রায়ই দেখা হতো কথিত সেই জাকির নায়েকের সাথে। একদিন জাকির নায়েক মিজানকে বললেন, ‘ভাই আমি তো মোবাইল ব্যবহার করিনা। তো আমার কিছু ফোন আসবে আপনার মোবাইলে যদি অনুমতি দেন।’
গ্রামের সরল সহজ মিজান সায় দেন জাকির নায়েকের কথায়। যেমন কথা তেমন কাজ। রীতিমতো নিজের নামের আগে পিছে বিভিন্ন ‘বিশেষন’ বসিয়ে ভিজিটিং কার্ড করে ফেলেন জাকির নায়েক। আর এতেই বিপাকে পড়েন মিজানুর। বিভিন্ন মোবাইল নাম্বার থেকে আসতে থাকে কল।
বিষয়টি এখানেই শেষ হচ্ছেনা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কে এই জাকির নায়েক? কেনইবা করলেন ভিজিটিং কার্ড? এর পেছনে কি উদ্দেশ্য রয়েছে? আর অন্য জনের মোবাইল নাম্বারইবা দিলেন কেন? আসলে কি তার উদ্দেশ্য?
এসব প্রশ্ন ঘোরপাক খাচ্ছে সচেতন মহলে। মোবাইলের ব্যাবহারকারী মিজানুর রহমান বলেন, আমি গ্রামের হতদরিত্র ছেলে। কিন্তু এই ক্ষণিকের পরিচিত লোকটি কেন যে এমন করল তা বুঝতে পারছিনা।
এদিকে, নগরীর টিলাগড় মিরাপাড়া এলাকায় কথিত জাকির নায়েকের খোঁজে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। কেউই তার সন্ধান দিতে পারেননি।
১৯ মার্চ, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস /কেএস