ঠাকুরগাঁও: করোনাভাইরাসের প্রভাবে পুরো বাংলাদেশ এখন কার্যত লকডাউন। এর প্রভাবে থমকে গেছে অর্থনীতির চাকা, কর্মহীন হয়ে পড়েছে সারাদেশের মানুষ। দুর্দশা আর দৈন্যতায় দিন কাটছে নিম্নআয়ের মানুষদের।
প্রিয়জনদের থেকে পাওয়া উপহার ও স্কুলের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে জমানো টাকা কর্মহীন, অসহায়, অসচ্ছল ও অভুক্ত মানুষদের মাঝে উপহার দিয়েছে ঠাঁকুরগাও সেন্ট মাদার তেরেসা স্কুলের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী মোছা. মুক্তা আক্তার।
শনিবার দুপুর ১২টায় ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. এ কে এম কামরুজ্জামান সেলিমের হাতে তার সঞ্চয়কৃত মাটির ব্যাংকের ২ বছরের জমানো টাকা অসহায় দরিদ্রদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমার জন্য তুলে দেয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক আবেগআপ্লুত হয়ে বলেন, ছোট্ট শিশুর মাটির ব্যাংকে জমানো টাকা এভাবে অসহায় দরিদ্র মানুষের জন্য দেওয়াটা আমি অনুকরণীয় বলে মনে করছি। তার কোমল হৃদয়ে যে করোনার বিষয়টি আঘাত করেছে এবং সে এ ক্রান্তিকালে গরীব অসহায়দের জন্য ভেবেছে এটাই বিশাল বড় পাওয়া। দেশের এই সংকটের মুহুর্তে স্কুল ছাত্রী মুক্তার এই অবদান আমরা সবসময় মনে রাখবো।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের আব্দুল লতিফ ও গৃহিণী নাসিমা বেগমের একমাত্র কন্যা মুক্তা। এই সং'কটে মেয়ের এমন দানে গর্বিত পিতামাতা।
স্কুল ছাত্রী মুক্তা জানায়, আমি টিভিতে দেখেছি গরীব মানুষেরা অসহায়ভাবে দিন যাপন করছেন। তারা অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। তাই আমি আমার ২ বছরের টিফিনের জমানো টাকা ও বিভিন্ন সময় উপহারের জমানো টাকা গরীব মানুষদের জন্য দিয়ে দিলাম।