এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : মাঠের পর মাঠ চারুণভূমি। কোলাহলমুক্ত পরিবেশ। চারদিকে বিস্তীর্ণ বেড়া। ভেতরেই ঘুরে ঘুরে ঘাস খাচ্ছে গরু। বেড়ার অপরপাশেই বাঁশি বাজাচ্ছে এক রাখাল। হ্যামিলনের মতো জাদুকরী বাঁশির সুরে মন ভোলাচ্ছে গবাদি পশুগুলোর। শুনতে অবিশ্বাস্য হলেও এমনটাই ঘটছে ব্রিটেনে।
সেখানকার খামারগুলোতে রাখালরা রীতিমতো জ্যাজ শোনাচ্ছে পালের গরুকে। এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো গরুদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি এবং দুধ উৎপাদন বাড়ানো। বিবিসি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটকে রাখালদের এসব বাঁশি বাজানো ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। টিকটকে ভিডিওগুলো রীতিমতো ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে। সারা বিশ্ব থেকে ভিডিওগুলো লাখ লাখ ভিউ পেয়েছে। ওয়ারউইকশায়ারের নুনিয়াটনের একজন দুগ্ধ খামারি চার্লস গোডবি নতুন ট্রেন্ডটি চালু করেছেন।
তিনি বলেন, নতুন রোবটিক মিল্কিং সিস্টেম চালু করার পর গরুদের জন্য একটি স্থিতিশীল শব্দ পরিবেশ নিশ্চিত করতে এ ব্যবস্থা চালু করি। শুরুতে ক্লাসিক্যাল সংগীত বাজানো হলেও বর্তমানে জ্যাজ সংগীত জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
গোডবি আরও বলেন, প্যাভলোভের কুকুর পরীক্ষার মতো, সংগীত গরুদের দুধ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত করে তোলে। এটি গরুদের শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত করে, ফলে দুধের প্রবাহ দ্রুত হয়।
অনেকের মতে, গরুদের সংগীতের প্রতি আগ্রহের বিষয়টি কৃষকদের জন্য একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেছে। ফলে এটি শুধু গরুদের জন্য নয়, কৃষকদের জন্যও একটি ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এই উদ্যোগটি কৃষি খাতে একটি নতুন ধারণার সূচনা করেছে, যা গরুদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটিয়েছে।
উলে্খ্য প্যাভলবের বিখ্যাত পরীক্ষায়, কুকুরদের খাবার গ্রহণের সঙ্গে ঘণ্টার শব্দ যুক্ত করার শর্ত দেওয়া হয়েছিল। তখন ঘণ্টার শব্দ শুনলেই কুকুরগুলো কেবল লালা বের করত। কেননা মানসিকভাবে শব্দকে খাবারের সঙ্গে যুক্ত করত। ঠিক তেমনি গরুও একইভাবে শব্দের প্রতিক্রিয়া জানায়।