এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : নভেম্বরে অবসর নেওয়ার কথা। তার আগেই ভারতীয় সেনাবাহিনী যে তাকে এমন ফেয়ারওয়েল জানাবে, তা ভাবতে পারেননি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান রাহিস শরিফ। অবসরের আগে তাই ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের বদলা নিতে তিনি যা ইচ্ছে করতে পারেন বলেই আশঙ্কা করছেন ভারতীয় সেনারা।
নিজেকে বরাবর সন্ত্রাস দমনের পক্ষে বলে গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছেন পাক সেনাপ্রধান। সেই রাহিল শরিফই ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের বদলা নিতে ভারতে নাশকতামূলক আক্রমণের ষড়যন্ত্র করতে পারেন বলেও আশঙ্কা ভারতীয় গোয়েন্দাদের।
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে পাক সরকারের অধিকাংশ সিদ্ধান্তই আসলে এই রাহিল শরিফের মস্তিষ্কপ্রসূত। রাহিল শারিফ বরাবরের ভারত বিদ্বেষী। তিনি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান থাকাকালীন পাক অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়ে ভারতীয় সেনারা সফল সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে আসবেন, এটা পাক সেনাপ্রধানের বড়সড় অপমানের সমান।
এছাড়াও, আশংকা করছে জেনারেল শরিফের প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে উঠবেন। তার অন্যতম কারণ ভারতের সঙ্গে ১৯৬৫ সালের যুদ্ধে জেনারেল শরিফের চাচার মৃত্যু হয়। আর ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে নিহত হন তার ভাই। এ জন্যই জেনারেল শরিফের মধ্যে তীব্র ভারতবিরোধী মনোভাব বিদ্যমান।
তাই যে কোনও মূল্যে ভারতের উপরে শোধ নিতে চাইবেন তিনি। ভারতকে রক্তাক্ত করাই এখন পাকিস্তানের এই বিদায়ী সেনাপ্রধানের মূল উদ্দেশ্য। কারণ তা করতে না পারলে নিজের এতদিনের যাবতীয় প্রভাব-প্রতিপত্তি খোয়াতে হতে পারে রাহিলকে। আর ভারতের উপরে বদলা নিতে পারলে সরকার এবং সেনাবাহিনীর উপরে তার প্রভাব আরও বাড়বে।
যদিও, পাক সেনাপ্রধানের এই ইচ্ছা যাতে পূর্ণ না হয়, তা নিশ্চিত করতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দারা। এদিনই কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে এবং সার্জিক্যাল স্ট্রাইক-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করতে কাশ্মীরে পৌঁছেছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান দলবীর সিংহ সুহাগ।
এদিনও সকাল থেকে কাশ্মীরের আখনুর সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের লক্ষ্য করে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে গুলি চালাচ্ছে পাক সেনা। তার যোগ্য জবাব দিন ভারতীয় সেনা জওয়ানরাও। কিন্তু নভেম্বর মাসে রাহিল শরিফ অবসর নিলেই কি ভারতের স্বস্তির কারণ আছে?
ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন না, কারণ পাক সেনা বরাবরই ভারত বিরোধী মনোভাব নিয়ে পাকিস্তানের সরকারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে। অদূর ভবিষ্যতে সেনাপ্রধান বদলালেও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ভারত বিদ্বেষী মনোভাবে কোনও পরিবর্তন হওয়ার আশা করছে না ভারত। এবেলা
০১ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি