সোমবার, ০৩ অক্টোবর, ২০১৬, ০৬:১৪:৫৮

দুপুরের পর থেকে ফের পাক-ভারত সীমান্তে গোলাগুলি শুরু

দুপুরের পর থেকে ফের পাক-ভারত সীমান্তে গোলাগুলি শুরু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ঢুকে যে ভারতীয় সেনার সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দাবী করার পর থেকে তার ‘জবাব’ দিতে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে ক্রমাগত সংঘর্ষবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে পাকিস্তান গুলি চালাচ্ছে বলে দাবী ভারতের।

ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, এক বা দুবার নয়। সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চে চারবার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে ভারতীয় সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে মর্টার হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানী রেঞ্জার্স।

ভারতীয় সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, বিএসএফ-এর আউটপোস্ট লক্ষ্য করে ক্রমাগত ১২০ মিলিমিটার মর্টার ছোঁড়া হয়েছে। পাশাপাশি, স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়েও ভারতীয় জওয়ানদের লক্ষ্য করা হয়।

ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পুঞ্চের শাহপুর, কৃষ্ণঘাটি, মান্ডি এবং সাবজিয়া সেক্টরে এই হামলা হয়। ভারতীয় সেনার মুখপাত্র কর্নেল মণীষ মেটা জানান, দুপুর পৌনে ২টা নাগাদ মান্ডি ও সাবজিয়াতে বিনা প্ররোচনায় ১২০ এমএম ও ৮০ এমএম মর্টার, স্বয়ংক্রিয় রাইফেল এবং ছোট বন্দুক দিয়ে গুলি ও বোমা বর্ষণ শুরু করে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী।

কর্নেল মণীষ মেটা জানান, তার আগে সকাল সওয়া ১১টা নাগাদ শাহপুরেও একইভাবে ওপার থেকে হামলা চালানো হয়। পাকিস্তানের গুলি ও মর্টারবৃষ্টির সমুচিত জবাবে পাল্টা অবস্থান নেয় ভারতীয় সেনাও।

তবে, এখনও পর্যন্ত স্থানীয় ২ জন সাধারণ নাগরিকের আহত হওয়ার খবর মিলেছে, বড় ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই। ভারত সার্জিক্যাল স্ট্রাইক সেরে ফিরে আসার পর থেকেই পাকিস্তান বিনা কারণে ভারতের দিকে গোলাগুলি চালাতে শুরু করেছে বলে দাবী ভারতীয় সেনার।

রবিবার রাতেও কাশ্মির নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাল্লানওয়াল্লা সেক্টরে ছোট বন্দুক থেকে গুলি, মর্টার, রকেট-প্রোপেলড গ্রেনেড (আরপিজি) চালিয়েছে তারা। তবে জম্মু এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত তুলনামূলকভাবে অনেক শান্ত রয়েছে।

তবে দু’দেশের মধ্য উত্তেজনা দ্রুত বাড়তে থাকায় দু’দেশের সীমান্ত এলাকায় বাস করা মানুষদের অন্যত্র সরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে, সীমান্তে বাড়িঘর ফেলে আসা মানুষদের জন্য খালি করতে বলা হয়েছে সরকারি ভবন।

সীমান্তের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা ইতিমধ্যেই সরে গেছেন নিরাপদ জায়গায়। এছাড়া যুদ্ধের ভয়ে অনেকেই রাতে বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, ফিরে আসছেন সকাল হলে।

৩ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে