আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মানবপাচার রোধে দক্ষিণ ভূমধ্যসাগরে নতুন করে অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ‘সোফিয়া’ নামের ওই অভিযানে সন্দেহভাজন নৌযান ধরা, তল্লাশি, জব্দ ও ঘুরিয়ে দেওয়ার কাজ করবে সংশ্লিষ্ট দেশের নৌবাহিনী। এ অভিযানের অংশ হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর যুদ্ধ জাহাজ, হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করা হবে।
রোমের সদরদপ্তর থেকে সোফিয়া অভিযানের কমান্ডার রিয়ার এ্যাডমিরাল এনরিকো ক্রিদেনদিনো ভূমধ্যসাগরে অভিযানে থাকা ইইউর যুদ্ধজাহাজগুলোর তত্ত্বাবধান করবেন।
অপারেশন সোফিয়া নামে এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। অভিযান পরিচালনাকারীরা বিনা অনুমতিতে যে কোনো নৌ-জাহাজে অনুসন্ধান চালাতে পারবে, জব্দ করতে পারবে এবং মানবপাচারে ব্যবহার হচ্ছে এমন সন্দেহভাজন নৌকাকে ফিরে যেতে বাধ্য করতে পারবে। তবে এখনও পর্যন্ত ইইউ নজরদারি এবং উদ্ধার অভিযানের দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। মূলত লিবিয়া উপকূল থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল দূরে আর্ন্তজাতিক জলসীমার মধ্যে এ অভিযান চালানো হবে।
দ্বিতীয় ধাপে শুরু হতে যাওয়া এ অপারেশন সোফিয়ার নামকরণ করা হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি জাহাজে জন্ম নেওয়া এক শিশুর নাম অনুযায়ী। গত আগস্টে লিবিয়া উপকূল থেকে শিশুটির মাকে উদ্ধার করা হয়। পরে ইইউর জাহাজে শিশুটির জন্ম হয়।
এর আগে গত জুন মাসে ভূমধ্যসাগরে প্রথম নৌ অভিযান চালিয়েছিল ইইউ। ‘ইইউনেভফর মেড’ নামে পরিচিত ওই অভিযানে লিবিয়া থেকে ইতালি ও মাল্টার উদ্দেশে ছেড়ে আসা পাচারকারীদের নৌকাগুলোতে কেবল মাত্র নজরদারি এবং উদ্ধারের কাজ করেছিল ইইউ।
এ বছরে এখন পর্যন্ত উত্তর আফ্রিকা থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার অভিবাসী ও শরণার্থী ভূমধ্যসাগর পার হয়ে ইউরোপে প্রবেশ করেছে। মারা গেছে ২ হাজার ৭০০ জনের বেশি। বিপুল সংখ্যক অভিবাসী ইউরোপে প্রবেশ করায় তাদের আবাসন করা নিয়ে ইইউ সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে।
০৭ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/