আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে তৈরি হওয়া সুবিশাল গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্পের বাকি অংশের কাজ শেষ করার জন্য অর্থ বিনিয়োগের প্রস্তাব দিল চীন।
পাকিস্তানের সরকারি আধিকারিকরা এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ব্যুরো বা সিপিপিবি বর্তমানে ১৪০ কোটি ডলারের গোয়াদার-নওয়াবশাহ এলএনজি টার্মিনাল ও পাইপলাইন প্রকল্পের কাজ করছে। এই কোম্পানি গোয়াদার বন্দর থেকে ইরান সীমান্ত পর্যন্ত নির্মাণাধীন গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্পে অর্থ বিনিয়োগ করতে চায়। চীন এলএনজি প্রকল্পের শতকরা ৮৫ ভাগ অর্থ যোগান দিচ্ছে। একইভাবে ইরান-পাকিস্তান গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্পেও সমপরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি অর্থ বিনিয়োগ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছে চীনা সংস্থা।
ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে নির্মাণাধীন গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প আরও আগে চালুর কথা থাকলেও তেহরানের ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে পাকিস্তান সে প্রকল্প বাস্তবায়নে এগিয়ে আসে নি। ২০১৫ সালে এই নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে নেওয়া হয় কিন্তু মার্কিন চাপের কারণে ইসলামাবাদ প্রকল্প বাস্তবায়নে তৎপর হয় নি। এখন চীনের এই প্রস্তাবের কারণে আশা করা হচ্ছে পাকিস্তানের পক্ষে গোয়াদার বন্দর থেকে ইরান সীমান্ত পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সহজ হবে।
পাক কর্মকর্তা আরপ জানিয়েছেন, ইসলামাবাদ এলএনজি আমদানির জন্য টার্মিনাল নির্মাণ করছে কিন্তু তা নিশ্চিত কোনও ব্যবস্থা নয়। যুদ্ধসহ নানা কারণে এলএনজি আমদানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে। সম্ভাব্য এমন পরিস্থিতিতে গ্যাস সরবরাহ অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য ইরান-পাকিস্তান গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প বাস্তবায়ন জরুরি। এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে এই প্রকল্পকে পাকিস্তানের আধিকারিকরা তাদের দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন। -কলকাতা২৪।
০৩ নভেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম