আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কুন্দুজ হাসপাতালে মার্কিন বিমান হামলার ঘটনায় বুধবার দাতব্য সংস্থা ডক্টরর্স উইদাউট বর্ডার্সের (এমএসএফ) নিকট মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন। বারাক ওবামা ওই হামলার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন সামরিক বিভাগ একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত করবে বলে। তবে এ হামলার সংস্থাটি আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেছে।
গত শনিবার মার্কিন বিমান হামলায় আফগানিস্তানের কুন্দুজ শহরে ওই আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থাটির পরিচালিত হাসপাতালে ২২ জন রোগী ও চিকিৎসক প্রাণ হারিয়েছিলেন যাদের মধ্যে ১২ জনই ওই দাতব্য সংস্থার কর্মী। এমএসএফ -এর দাবি, অতীতে কখনও কাজে লাগানো হয়নি এমন সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানিটেরিয়ান ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিশনকে (আইএইচএফএফসি) দিয়ে এই ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করানো হোক৷
এমএফএস -এর দাবিতে রীতিমতো প্যাঁচে মার্কিন প্রশাসন৷ হাসপাতালে বোমা ফেলার পর সব অভিযোগ প্রথমে অস্বীকার করেছিল আফগানিস্তানে মোতায়েন মার্কিন সেনা৷ পরে, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দেন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ তার পরেই নড়ে চড়ে বসে আফগানিস্তানে মোতায়েন মার্কিন সেনারাও৷ মঙ্গলবারই আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর প্রধান জেনারেল জন ক্যাম্পবেল দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন৷ কিন্তু তাতে কমেনি এমএসএফ -এর ক্ষোভ৷
বুধবার কুন্দুজ হাসপাতালে বিমান হামলার ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। হোয়াইট হাউস মুখপাত্র জোস আর্নেস্ট জানিয়েছেন, ওবামা এমএসএফ’র আন্তর্জাতিক প্রেসিডেন্ট জোয়ানে লিউ’র কাছে টেলিফোন করে ক্ষমা চেয়েছেন এবং ওই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ভবিষ্যতে তার দেশ এ ধরনের হামলা থেকে বিরত থাকবে বলেও জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি হাসপাতালে হামলার ঘটনার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিভাগ এর ওপর একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
হাসপাতালে বোমা ফেলার জন্য মার্কিন প্রশাসনকে ভালো রকম শিক্ষা দিতেই সংস্থার পক্ষ থেকে তোলা হয়েছে ১৯৯১ সালে জেনিভা কমভেশনের আওতায় তৈরি আইএইচএফএফসি -র নাম৷ ১৯৯১ সালে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত তদন্ত চালানোর জন্য এই সংস্থা গড়ে তোলা হলেও এ পর্যন্ত কখনওই এই সংস্থার সাহায্য নেওয়া হয়নি৷ আইএইচএফএফসি কোনও আদালত নয়৷ এর কাজ কোনও ঘটনা সম্পর্কে তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করে তার রিপোর্ট জমা দেওয়া৷ ১৯৯১ সালে এই সংস্থা তৈরি সময় সম্মতিতে সই করেনি আমেরিকা ও আফগানিস্তান৷ শর্ত অনুযায়ী এই সংস্থা কাজ শুরু করার আগে বাদী ও বিবাদী দুই পক্ষকেই সংস্থার প্রয়োগ নিয়ে একমত হতে হবে৷
০৮ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/