আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রবাসে ৫০০-১০০০ গেরো। গ্রিক দম্পতি জানালেন, ‘গ্রিসের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। আমাদের জানানো হয়েছে, এ সমস্যার সমাধান আপাতত নেই’।
বিদেশ সফরের আনন্দই মাটি। টাকা বদলের গেরোয় রাস্তায় ঘুরেই সময় কাটছে গ্রিক দম্পতি কনস্টানটাইন আলেকজান্ডার এবং ফ্লোরা ফোকের।
বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টের সময় কলকাতার জেনারেল পোস্ট অফিসে (জিপিও) গিয়েছিলেন কনস্টানটাইন এবং ফ্লোরা। চেহারা বিধ্বস্ত। ক্লান্ত শরীরে বসে পড়েছিলেন জিপিও’র সিঁড়িতেই। কেন এই হাল? বিদেশ সফরে বেরিয়ে তাইল্যান্ড থেকে বুধবার কলকাতায় এসেছেন ওই দম্পতি। বিমানবন্দর থেকে নির্দিষ্ট হোটেলে যাওয়ার জন্য ট্যাক্সি ধরেন। সেখানেই সমস্যার শুরু। পুরনো নোট নিতে অস্বীকার করেন ট্যাক্সিচালক। তারপর থেকেই ব্যাঙ্কের দোরে দোরে ঘুরছেন কনস্টানটাইন।
তাঁর কথায়, ‘‘খুব অসহায় লাগছে। বিদেশে মুদ্রা আদানপ্রদান করে এমন বেশ কয়েকটি সংস্থার অফিসে গিয়েছি। কিন্তু সব সংস্থাই জানিয়েছে তাদের কাছে কোনও টাকা নেই।’’
বিদেশে ব্যবহার করা যায় এমন ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ড রয়েছে কনস্টানটাইন এবং ফ্লোরার। তাই হোটেলের বিল মেটাতে বা রেস্তোরাঁয় খেতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না তাঁদের। কিন্তু এটিএম বন্ধ থাকার জন্য নগদ টাকা তুলতে পারছেন না ওই দম্পতি। ফলে প্রতি মুহূর্তের খুচরো খরচের ক্ষেত্রে পড়তে হচ্ছে সমস্যায়।
ফ্লোরা বলেন, ‘‘আমরা গ্রিসের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু আমাদের জানানো হয়েছে, এ সমস্যার কোনও সমাধানসূত্র আপাতত নেই।’’
সুন্দরবনে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল গ্রিক দম্পতির। ইচ্ছে রয়েছে শিমলা এবং মানালি যাওয়ারও। কিন্তু সব কিছু আপাতত স্থগিত রেখে নতুন নোট সংগ্রহেই ব্যস্ত কনস্টানটাইন এবং ফ্লোরা। তাঁদের দেখে পথচলতি এক বৃদ্ধের মন্তব্য, ‘‘আহা রে এদেশে ঘুরতে এসে কী দুর্ভোগেই না পড়তে হচ্ছে।’ -এবেলা।
১১ নভেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম