আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর অভিযানের ভয়ে পালিয়ে প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে রোহিঙ্গারা। সেখানে গত প্রায় দেড় মাস ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে কমপক্ষে সাড়ে তিনশ’ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
টেকনাফের স্থানীয়রা বলছেন, সীমান্তরক্ষীদের কড়া প্রহরা সত্ত্বেও গোপনে তাদের প্রবেশ চেষ্টা অব্যাহত আছে। টেকনাফে মিয়ানমার সীমান্তে নাফ নদী। তার পাড়েই উলুবনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও মৎস্য ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ শিকদার। শিকদারের বাড়ি থেকে সীমান্তের ওপারে পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত দেখা যায়।
বাংলাদেশের সীমান্তে থেকে তারা দেখতে পাচ্ছেন দিনের বেলা ধোঁয়া উঠছে, তাদের ধারণা সেখানে বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হচ্ছে। মাঝে মাঝে হেলিকপ্টার দেখা যাচ্ছে।
তবে সীমান্তে তাদের ‘পুশব্যাক’ও অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। সর্বশেষ শুক্রবার ১২৫ জনকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
শিকদার বলছিলেন, ‘কিছু লোক বিজিবিকে ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করছে। বিজিবি রয়েছে কঠোর প্রহরায়। তারপরেও রাতের অন্ধকারে ফাঁকফোকর দিয়ে কিছু লোক কিন্তু ঢুকে যাচ্ছে।’
ব্যবসায়ের কারণে যারা বাংলাদেশে আসছেন তাদের কাছে থেকে জানতে পারছেন কিছু বাড়িঘর জালিয়ে দেওয়া হয়েছে মিয়ানমারে, কিছু লোককে টার্গেট করে গুলি করে মারা হয়েছে। মেয়েদের নির্যাতনের খবর তারা পেয়েছেন।
বাংলাদেশের সীমান্ত খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। এদিকে আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের অবস্থাকে নরকের সঙ্গে তুলনা করে বলছেন, সেখানে গত প্রায় দেড় মাস ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে কমপক্ষে সাড়ে তিনশ’ জন নিহত হয়েছেন।
১৯ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর