আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরিফ তার বিদায়ী পরিদর্শন শুরু করেছেন। সেনাপ্রধান হিসেবে চাকরির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে তাকে ঘিরে যে জল্পনা-কল্পনা চলছিল এর মধ্য দিয়ে তার অবসান ঘটেছে। পরমাণু শক্তিধর দেশটির শক্তিশালী সেনাপ্রধান হিসেবে কে নির্বাচিত হচ্ছেন তা নিয়ে এখন জল্পনা-কল্পনা চলছে।
পাকিস্তানের একটি ইংরেজি দৈনিক আজ (মঙ্গলবার) জানিয়েছে, দেশটির তিন তারকা বিশিষ্ট চার জেনারেলের সংক্ষিপ্তসার প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দফতরে পাঠানো হয়েছে।
প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, বিদায়ী সেনাপ্রধান তার উত্তরসূরি নির্বাচনের জন্য কিছু পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে প্রধানমন্ত্রী তা মানতে বাধ্য নন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে পরবর্তী সেনাপ্রধান নিয়োগের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো পরামর্শ দেননি জেনারেল রাহিল শরিফ। পরিবর্তে চাকরিক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা এবং গুণের ভিত্তিতে সেনাপ্রধান নিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি। এ পরামর্শ যদি নওয়াজ মেনে নেন তবে পরবর্তী সেনাপ্রধান নিয়োগের বিষয়টি অত্যন্ত সহজ হয়ে যায়।
জেনারেল রাহিলের অবসর নেয়ার সময়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ ব্যক্তি হবেন চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লে-জেনারেল জুবাইর মাহমুদ হায়াত। এরপরে রয়েছেন মুলতানের কোর কমান্ডার লে-জেনারেল ইসফাক নাদিম আহমেদ। অন্য কোনো প্রত্যাশা না করা হলে ধরে নেয়া যেতে পারে যে, জেনারেল হায়াতকে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান বা জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান বা সিজেসিএসসি করা হবে। অন্যদিক জেনারেল নাদিম হবেন পাক সেনাবাহিনীর পরবর্তী সেনাপ্রধান।
এদিকে জ্যেষ্ঠতা তালিকায় এরপরে আরো দুই জন রয়েছেন। তারা হলেন, বাহওয়ালপুরের কোর কমান্ডার লে-জেনারেল জাভেদ ইকবাল রামদি এবং পাক সেনা সদর দফতর বা জিএইচকিউ’র প্রশিক্ষণ এবং মূল্যায়ন বিষয়ক মহাপরিদর্শক লে-জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। তারাও সেনাপ্রধানের দৌড়ে খুব পিছিয়ে নেই বলে অনেকেই ধারণা করছেন।
পাক সামরিক সূত্র থেকে বলা হয়েছে, চাকরিক্ষেত্র এই চার জেনারেলের সবাই 'অনবদ্য ক্যারিয়ারের’ অধিকারী। এ ছাড়া, ‘কৌশলগত এবং অপারেশন’ উভয় ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা রয়েছে।
চলতি মাসের ২৭ তারিখে পাকিস্তানের নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগের ঘোষণা দেয়া হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
সূত্র : ওয়েবসাইট
২২ নভেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম