আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সাতটি মুসলিম দেশের শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলেন হিলারি ক্লিনটন। মুসলিম শরণার্থীদের সমর্থনে এগিয়ে এলেন সাবেক ফার্স্টলেডি ও ডেমোক্রেটিক দলের এ প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।
শনিবার রাতে এক টুইট বার্তায় হিলারি নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া শরণার্থীদের জন্য নিজের সমর্থন জানিয়েছেন। ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদেরও সমর্থন দিয়েছেন তিনি। খবর ডেইলি বিস্টের।
টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের মূল্যবোধ এবং সংবিধানের পক্ষে আজ রাতে যারা বিক্ষোভে সমবেত হয়েছেন আমি তাদের পক্ষে আছি। হিলারি আরও লেখেন, এটা আমাদের সত্যিকারের পরিচয় নয়।’
যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের প্রবেশের ওপর ট্রাম্পের জারি করা সাময়িক নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে শনিবার দেশটির এক ফেডারেল বিচারক স্থগিতাদেশ জারি করার পরই হিলারি এ টুইট করেন। এদিকে, শরণার্থী ও অভিবাসী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া নির্বাহী আদেশ বাস্তবায়ন শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিমানবন্দরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। শুক্রবার ট্রাম্পের আদেশের পর শনিবার মিসরের একটি বিমানবন্দরে বৈধ ভিসা থাকার পরও ইরাকের পাঁচজন ও ইয়েমেনের একজনকে যুক্তরাষ্ট্রগামী বিমানে উঠতে দেয়া হয়নি।
নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় গ্রিন কার্ডধারী ১২ জনকেও আটক করে পুলিশ।
এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরগুলোতে বিক্ষোভকারীদের ঢল নামে। তারা ট্রাম্পের আদেশ প্রত্যাহারের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী ও শরণার্থীদের মর্যাদা বাড়ানোরও দাবি জানান।
শনিবার দুপুরে নিউইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দরের কয়েক শ’ বিক্ষোভকারীকে ‘লেট দেম ইন’, ‘ব্যান-ডেথ, উই আর আমেরিকান-উই স্টে হিয়ার’সহ নানা ধরনের স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস, সানফ্রান্সিসকো, শিকাগোর ও’হেয়ার, ওয়াশিংটন ডিসির ডালাসসহ ডজনখানেক এয়ারপোর্টে ট্রাম্পের আদেশের বিরুদ্ধে হাজারও নাগরিক বিক্ষোভ করছেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
আটকদের ছাড়াতে তাদের আইনজীবীরাও বিমানবন্দরগুলোতে তৎপর রয়েছেন। ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় নিউইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দরের ৪ নাম্বার টার্মিনাল থেকে বিক্ষোভের সূত্রপাত। অভিবাসন কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরে ১১ জন শরণার্থীকে আটক করার পরই এ বিক্ষোভ শুরু হয়।
৩০ জানুয়ারি ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস