শুক্রবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭, ০৮:৩২:১০

ইসলাম ও ইরানের ওপর চড়াও ট্রাম্প, গোপন তথ্য ফাঁস করল রয়টার্স

ইসলাম ও ইরানের ওপর চড়াও ট্রাম্প, গোপন তথ্য ফাঁস করল রয়টার্স

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে ওবামা প্রশাসনের করা ‘উগ্রবাদী সহিংসতা দমন’ বিষয়ক সরকারি একটি কর্মসূচির নাম বদলে ‘ইসলামি চরমপন্থী দমন’ রাখতে যাচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম রয়টার্সের এক মন্তব্য প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সকালে দেওয়া এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই এই ইঙ্গিত দেওয়ার পর ওই মন্তব্যটি লেখেন রয়টার্সের সিনিয়র সাংবাদিক ডেরেক কেনি। তার মন্তব্য প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওবামা সরকারের শাসনামলে সব ধরনের চরমপন্থা দমনে যে কর্মসূচিটি চালু করা হয়, সেটিকে এখন কেবলই ইসলামী চরমপন্থীদের দমনে কাজে লাগাতে চান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ পরিবর্তন আনতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বোমা হামলা ও গোলাগুলির ঘটনার সঙ্গে শ্বেতাঙ্গ যেসব গোষ্ঠী জড়িত তাদেরকেও ছাড় দিতে রাজি পক্ষকাল আগে ক্ষমতা গ্রহণ করা এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচনি প্রচারণায় ট্রাম্প যে দান্দ্বিক ভাষা ব্যবহার করেছিলেন কূটনীতিতেও তিনি একই ভাষা প্রয়োগ করছেন।

সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যাককলাম টার্নবুল ফোনে কথা বলেন। এ সময় তিনি ওবামা প্রশাসনের সময়ের একটি চুক্তি বিষয়ে ট্রাম্পকে অবহিত করেন। ওই চুক্তির আওতায় অস্ট্রেলিয়ার ডিটেনশন সেন্টার থেকে এক হাজার ২৫০ জন অভিবাসী নিতে সম্মত ছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু নব্য ক্ষমতাধর ট্রাম্প এ কথা শুনেই রেগে যান এবং নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় দাম্ভিকতা প্রকাশ করেন। পরে তিনি এক টুইট বার্তায় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী বিনিময় চুক্তিকে ‘বধির চুক্তি’ বলে অভিহিত করে একটি পোস্ট দেন।

অস্ট্রেলিয়া পরিচালিত পাপুয়া নিউগিনি ও নাউরুর ওইসব ডিটেনশন সেন্টারের সমালোচনা করে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। তাদের মতে এসব সেন্টারগুলোতে আটক ব্যক্তিদের অবস্থা করুণ, তাদের দুর্নীতি, শিশুদের যৌন হয়রানি, সহিংসতা এবং আত্মহত্যার প্রতিবাদে নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, ব্যালেস্টিক মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করায় ইরানকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

যদিও তিনি এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের জটিলতার বা সমস্যার বিষয়টি পরিস্কার করেননি। ট্রাম্প প্রশাসন বুঝানোর চেষ্টা করছে, এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র নতুন নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে।
০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে