আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বর্তমান বিশ্বের অপ্রতিরোধ্য অর্থনীতির দেশ হল চীন। কিন্তু অর্থনীতির পরাশক্তি এই দেশটিও নতুন করে মন্দায় পড়তে পারে বলে পূর্বাভাস শোনা যাচ্ছে।
মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ২০১৫ সালের প্রথম চতুর্থাংশে বেড়ে দাঁড়িয়েছে শতকরা ৭.৪ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির এই হার ২০১২ সালের তৃতীয় চতুর্থাংশ থেকে এ পর্যন্ত সময়ে সবচেয়ে কম। এতেই বোঝা যাচ্ছে, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি ধীরে ধীরে কমে নিচের দিকে নামছে।
এই প্রবৃদ্ধি আগের সকল পূর্বাভাসকে মিথ্যা প্রমাণ করেছে। তবে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রবৃদ্ধির হার শতকরা ৭.৭ ভাগ নিচে রয়েছে।
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তে দেখা যাচ্ছে, গত বছরের মার্চ মাসের চেয়ে এ বছরের মার্চ মাসে শিল্প ক্ষেত্রে উৎপাদন শতকরা ৮.৮ ভাগ বেড়েছে। তবে এই হার প্রত্যাশ্যার চেয়ে কম। এবছর বিক্রয়ের প্রবৃদ্ধির হার নিবন্ধন করা হয়েছে শতকরা ১০.৯ ভাগ। এই বৃদ্ধি দেশীয় পণ্য সামগ্রী ভোগের পরিমাণ বাড়াতে সরকারের প্রচেষ্টার একটি নিদর্শন।
চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, আগের তথ্য উপাত্তে চীনা অর্থনীতিতে দুর্দিনের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। বছরের প্রথম চতুর্থাংশে আমদানি এবং রপ্তানি উভয়ই কমে গেছে।
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং ঘোষণা দিয়েছেন, দেশটি এই অর্থনৈতিক স্থবিরতার মুখে কোন রকমের প্রণোদনা পরিকল্পনা গ্রহণ করবে না। ২০০৯ সালে আর্থিক সংকটের সময়ে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি যখন বেশ ধীর হয়ে যায়, তখন চীন এতে গতি সঞ্চার করে। চীনা অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির হার অব্যাহত রাখতে তারা বিশাল পরিসরে দেশজ প্রণোদনার পরিকল্পনা চালু করে।
এখন যেহেতু ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ধীরে ধীরে মন্দা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠেছে, তাই চীন কিছু অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে প্রবৃদ্ধিতে ধীর গতি থেকে শুরু করে অনিশ্চিত ছায়া ব্যাংকিং থেকে সৃষ্ট আর্থিক ঝুঁকিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
চীনা সরকার তাঁর বর্তমান নেতৃত্বের অধীনে ২০১৪ সালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ৭.৫ শতাংশ সেটি কমিয়ে ৭.৩ শতাংশে আনা হয়েছে।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস