আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দিল্লি নির্ভয়া কাণ্ডে চার দোষীরই ফাঁসির সাজা বহাল রেখেছে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। জানিয়েছে, যে ধরণের ঘৃণ্য অপরাধ হয়েছে তা যেন এ গ্রহের সঙ্গেই মানানসই নয়। এবং মৃত্যুদণ্ড ছাড়া এর কোনও দ্বিতীয় সাজা হতে পারে না। এই রায় একদিকে যেমন গোটা দেশকে সুবিচারের দিশা দেখাচ্ছে, অন্যদিকে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ হিসেবও মনে করা হচ্ছে।
ঠিক এই পরিস্থিতিতেই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে আনলেন তামিলনাডুর মহিলা পুলিশ অফিসার। তার অভিযোগ সিনেমার দিকে। তার মতে, সিনেমার প্রভাবেও বাড়ছে মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনা। সম্প্রতি কোয়েম্বাটুরের ডিসিপি এস লক্ষ্মী জানান, তরুণ প্রজন্ম ও সমাজের উপর প্রতিটি সিনেমার নিজস্ব প্রভাব আছে। সাম্প্রতিক অতীতে সিনেমায় এমন কিছু সংলাপ উঠে এসেছে বা গানের কথা শোনা গিয়েছে, যা সরাসরি মহিলাদের পক্ষে অসম্মানজনক বলেই মত তার। মূলত তামিল ছবির সূত্রেই তার এই বক্তব্য।
তার মত, একজন মহিলা পুলিশ অফিসার হিসেবে তার মনে হয়েছে, এর বিরুদ্ধে সরব হওয়া উচিত। পরিচালকদের আরও সংবেদনশীল হওয়ারও আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তার মতে অপরাধ চিহ্নিত করার পাশাপাশি অপরাধ যাতে না হয়, সে ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। আর তাই তিনি এ বিষয়ে কথা বলছেন। অপরাধ বিশেষত মহিলাদের উপর অপরাধ কমানোর ক্ষেত্রে যেখানে সুযোগ মিলবে সেখানেই এ কথা বলা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।
ইনি অবশ্য একা নন, একই কথা শোনা যাচ্ছে আরও দুই পুলিশ অফিসারের মুখেও। এসপি রম্যা ভারতী ও ডিসিপি দিশা মিত্তলও একই ইস্যুতে সরব হয়েছেন। বিভিন্ন সিনেমায় যেভাবে মহিলাদের তুলে ধরা হচ্ছে, লিঙ্গ বৈষম্যের যে নমুনা উঠে আসছে, তার গভীর প্রভাব পড়েছে সামাজিক জীবনে। সেখান থেকেই নারীর উপর নির্যাতন বাড়ছে বলেই মনে করেন এঁরা। আর তাই মহিলা পুলিশ অফিসার হয়ে সমাজের প্রয়োজনেই মুখ খুলেছেন তারা।
৭ মে, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএস