সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৪:৪২:৫৪

ধারণ ক্ষমতার বাইরে শরণার্থী, দরজা বন্ধ করল মিউনিখ

ধারণ ক্ষমতার বাইরে শরণার্থী, দরজা বন্ধ করল মিউনিখ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শরণার্তীদের জন্য মিউনিখের দরজা বন্ধ করল। বিপুল পরিমাণ মানুষের ঢল নামতে শুরু করেছে তারা এই সকল মানুষদের জায়গা দিতে অক্ষম বলে জানিয়েছে জার্মান প্রশাসণ। শরণার্থীদের জায়গা দেওয়া নিয়ে দ্বিধা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারছেনা ইউরোপের দেশগুলো। তবে ভিটেমাটি হারানো মানুষগুলোর পাঁশে দাঁড়ানোর দাবি নিয়ে পথে নেমেছে সাধারণ মানুষ। অপরদিকে শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে বিরোধিতা করেও পাল্টা মিছিল বাহির করছে অন্যপক্ষ।

শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ইউরোপ। অনেকের মতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্বের পর এটাই ঘরছাড়া মানুষের সবচেয়ে বড় ঢল। কে দেবে এই সকল মানুষের আশ্রয়? ইউরোপ আগে থেকেই যদিও দ্বিধাদন্ধে ছিল। দেশের ভেতরে-বাহিরে বিরোধিতা সত্বেও দরজা খুলেদিল জার্মানি।
 
শনিবারই জার্মানির ওই শহরে পৌছয় প্রায় সাড়ে বারো হাজার শরণার্থী। রবিবার মিউনিখের পুলিস প্রশাসন জানায়, বিপুল এই জনস্রোত শহরের ধারণ ক্ষমতা ছাপিয়ে গিয়েছে। অর্থাত্‍, ঘরছাড়াদের একমাত্র আশার আলো মিউনিখের দরজাও এবার বন্ধ হতে চলেছে।

ইতিমধ্যেই রিফিউজিদের আটকাতে সার্বিয়া সীমান্তে বারোফুট উঁচু কাঁটাতারের বেড়া তুলে দিয়েছে হাঙ্গেরি। সেই নিশ্ছিদ্র পাহাড়ার ফাঁক গলেই কোলের সন্তানকে নিয়ে কাঁটাতার পেরনোর চেষ্টা চালাচ্ছে ঘরছাড়া মা। সেই ভিডিও প্রকাশ হতেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তাই প্রশাসন দরজা বন্ধ করলেও ঘরছাড়ারা পাশে পেয়েছেন ইউরোপের সাধারণ মানুষের একাংশকে।

যুদ্ধবিদ্ধস্ত পশ্চিম এশিয়ার ভিটেমাটি হারানো মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা নিয়ে ইউরোপের প্রায় প্রতিটি দেশের রাজধানী এবং বড় শহরগুলোয় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। লন্ডনে রিফিউজিদের আশ্রয় দেওয়ার দাবিতে পথ সভা করেন লেবার পার্টির নবনির্বাচিত নেতা জেরেমি করবিন।

হাতগুটিয়ে বসে নেই ইউরোপের শরনার্থী বিরোধী শিবিরও। রিফিউজিদের আশ্রয় দেওয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের ডাক দেওয়া হয়েছে চেক প্রজাতন্ত্র, পোল্যান্ড ও স্লোভাকিয়ার মতো দেশগুলিতে।
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে