আন্তর্জাকিত ডেস্ক: হাসপাতালের বিল মেটাতে না পারায় সদ্যোজাতকে বিক্রি করতে বাধ্য হলেন বাবা-মা। এই অভাবনীয় ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার কেন্দ্রপাড়ায়।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত ১ অগস্ট, কেন্দ্রপাড়ার এক নার্সিংহোমে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন পেশায় দিনমজুর নিরাকার মহারাণার স্ত্রী গীতাঞ্জলি। ভাল পরিষেবা পেতে এক স্বাস্থ্যসেবকের পরামর্শে ওই নার্সিংহোমে গিয়েছিলেন তাঁরা। ভেবেছিলেন, সরকারি হাসপাতালের মতো সেখানেও বিনামূল্যে পরিষেবা মিলবে। ওই স্বাস্থ্যসেবক তাঁদের এ কথা জানাননি, নার্সিংহোমে চিকিৎসা হলে তার বিল মেটাতে হবে কড়া নগদে।
সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর নার্সিংহোমে ওই দম্পতির বিল হয় সাড়ে সাত হাজার টাকা। মহারাণা জানিয়েছেন, ওই সময়ে এক হাজার টাকাও তাঁর কাছে ছিল না। কিন্তু নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ বিল মিটিয়ে দেওয়ার জন্য ক্রমাগত চাপ দিতে থাকে। তারা বলে, টাকা মেটানো না হলে রোগীকে ছাড়া হবে না। মহারাণার অভিযোগ, এর পরই নার্সিং হোম থেকে শিশুটি বেচে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় তাঁকে। সে সময়ে ওখানে উপস্থিত ছিলেন ওই স্বাস্থ্য সেবক। তিনি বলেন, কোনও নিঃসন্তান দম্পতির কাছে বাচ্চাটিকে বেচে দিয়ে টাকা তুলে নিতে। কোনও বিকল্প পথ না পেয়ে চাপের মুখে নতিস্বীকার করতে বাধ্য হন মহারাণা। স্ত্রী-এর প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও সদ্যোজাতকে তুলে দেন অন্য এক দম্পতির হাতে।
নার্সিংহোম থেকে স্ত্রীকে নিয়ে আসার পরে থানায় গিয়ে প্রথমেই ওই স্বাস্থ্যসেবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সবকিছুর মূলে ওই কর্মীকেই দায়ী করেছেন মহারাণা। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই কর্মী তাঁদের ভুলপথে চালিত করেছে। আগাগোড়া সব জানা সত্ত্বেও নার্সিংহোমে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।
ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শিশুটিকে উদ্ধার করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে তারা।-এবেলা
এমটিনিউজ২৪ডটকম/আ শি/এএস