আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দাউদ ইব্রাহিম কাসকার। ভারতের 'মোস্ট ওয়ান্টেড' তালিকার শীর্ষে থাকা ৬১ বছরের অপরাধ জগতের এই চূড়ামণির কণ্ঠস্বর শোনা গেল টেলিফোনে! ভারতের সিএনএন নিউজ ১৮-এর সাংবাদিক মনোজ গুপ্তা ফোন করেছিলেন দাউদের মোবাইলে।
কয়েক মাস আগেই শোনা গিয়েছিল দাউদের মৃত্যুর কথা। কিন্তু এই টেলিফোনের পরে এটা পরিষ্কার, বহাল তবিয়তেই আছে ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণের প্রধান হোতা। এবং সে রয়েছে পাকিস্তানেই। পাকিস্তানের করাচিতেই আপাতত ঘাঁটি গেড়েছে 'ডি কোম্পানি'-এর মালিক।
এদিন ফোন ধরেছিল দাউদ নিজেই। প্রথমেই সে জানতে চায়, ফোনের ওপারে কে রয়েছেন? মনোজ তাকে 'দাউদ' বলে সম্বোধন করলে দাউদ তা অস্বীকার করে বলে, সে দাউদ নয়, জাভেদ ছোটানি। প্রসঙ্গত, জাভেদ ছোটানি দাউদের দুবাইয়ের ব্যবসার অন্যতম প্রধান মাথা। ২০১৩ সালের আইপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ের সময়ে এই ছোটানিই দাউদ ও খেলোয়াড়দের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছিল।
দাউদ ছোটানিকে ফোন দিয়ে দিলে ছোটানি কথা বলে। পরে কথা বলে দাউদও। দু'জনেই অস্বীকার করে তারা পাকিস্তানে রয়েছে। ১৯ মিনিটের এই সাক্ষাত্কারে দাউদ নিজের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়।
জানায়, কিছুদিন আগে রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছিল তার। এই সমস্যাটুকু ছাড়া তার আর কোনও সমস্যার কথা সে বলেনি। অথচ শোনা গিয়েছিল তার পায়ে গ্যাংগ্রিন হয়েছে। হৃদরোগে ভোগার কথাও শোনা গিয়েছিল। কিন্তু সেই সব খবর যে ঠিক নয়, তা এবার পরিষ্কার হয়ে গেল।
এই সাক্ষাত্কারটি নেওয়া হয়েছিল মাস দুই আগে। ওটা যে দাউদেরই কণ্ঠস্বর, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে তবেই সিএনএন নিউজ ১৮-এর পক্ষ প্রকাশ করা হল সেই কথোপকথনের অডিও টেপ। আজকের এই সাক্ষাত্কারে স্পষ্টতই চাপে পড়বে পাকিস্তান। তারা বার বার অস্বীকার করে এসেছে সেদেশে দাউদের ঘাঁটি গাড়ার ব্যাপারটা।
মুম্বাইয়ের ডোংরি এলাকার একদা বাসিন্দা দাউদই ১৯৯৩ মুম্বই বিস্ফোরণ কাণ্ডের প্রধান পান্ডা। পরবর্তী সময়ে ভারতের মাটিতে হওয়া সন্ত্রাসী হানা থেকে শুরু করে নানা গুরুতর অপরাধের প্রধান পান্ডা ছিল সেই। সম্প্রতি দেড়হাজার কেজি মাদক-সহ একটি জাহাজ ধরা পড়েছিল। জানা গিয়েছিল এই মাদক দাউদই পাঠাচ্ছিল গুজরাতে।
এমটিনিউজ/এসএস