সোমবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৭, ০৯:৩৫:০৮

যুক্তরাষ্ট্র ও উ. কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধ হলে কে জিতবে?

যুক্তরাষ্ট্র ও উ. কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধ হলে কে জিতবে?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পরমাণু শক্তিধর দেশ দুটি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে ক্ষতি যে হবে অপূরণীয়, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এরইমধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন দ্বীপ গুয়ামে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে কিমের বাহিনী। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু হলে খবর আছে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তবে ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে কার সামরিক সক্ষমতা কতখানি। যুদ্ধের ময়দানে এখন পর্যন্ত মার্কিন বাহিনীকেই সর্বশ্রেষ্ঠ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর এই বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে গেলে কতক্ষণ টিকে থাকতে পারবে কিমের সেনারা? সামরিক বিশ্লেষকদের মধ্যে এ নিয়ে চলছে নানা হিসেব নিকেশ।

বিশ্লেষকদের মতে, উত্তর কোরিয়ার ১২ লাখ নিয়মিত সেনাবাহিনী এবং ৪০ থেকে ৭০ লাখ অনিয়মিত সেনার বিরাট বহর থাকলেও তাদের বিমান ও নৌবাহিনীর সক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় খুবই কম। বিশেষজ্ঞদের দাবি, প্রায়ই জ্বালানি তেলের স্বল্পতার কারণে উত্তর কোরীয় বিমানবাহিনী তাদের সব বিমান চালাতে পারে না। এ কারণে তাদের বিমানবাহিনীর পাইলটদের আকাশে যুদ্ধ পরিচালনা করার অভিজ্ঞতাও তূলনামূলক কম। একই অবস্থা দেশটির নৌবাহিনীরও।

তবে দূরবর্তী স্থাপনায় নিক্ষেপণযোগ্য পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে এই দুর্বলতা অনেকটা পুষিয়ে নিয়েছেন কিম। সম্প্রতি মার্কিন বিমানবাহী রণতরী কোরিয়া অভিমুখে যাত্রা করলে আক্রমণ মোকাবিলায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়ে বসে উত্তর কোরিয়া।

দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হান সং রিয়ল মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) দেয়া সাক্ষাতকারে বলেন, ‘আমাদের শক্তিশালী পারমাণবিক বোমার মজুদ রয়েছে। আর মার্কিন হামলার মুখে আমরা নিশ্চিতভাবেই সে অস্ত্রগুলো কোলে করে নিয়ে বসে থাকবো না। মার্কিন বিমান বাহিনী যদি আক্রমণ করে তবে আমরা তার সমুচিত জবাব দিবো।’
এমটিনিউজ২৪ডটকম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে