আন্তর্জাতিক ডেস্ক : “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমি পছন্দ করি। তবে অমিত শাহকে নয়। আমি প্রধানমন্ত্রীকে কোনও দোষ দিতে চাই না। তার দলেরই বিষয়টি দেখা উচিত।” শুনতে অবাক লাগলেও গতকাল একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে এসে এই কথাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
গত লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচন। কিংবা নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে জিএসটি চালু করা পর্যন্ত সব বিষয়েই এতদিন নরেন্দ্র মোদির প্রবল সমালোচনা করে এসেছেন মমতা। হরিদাস পাল থেকে কোমরে দড়ি বেঁধে ঘোরানোরও কথা শোনা গেছে তার মুখ থেকে।
তবে, গতকাল দেশে একনায়কতন্ত্রের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করলেও তিনি এর দায়ভার নরেন্দ্র মোদির উপর চাপাতে চাননি। বরং তার টার্গেট ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। সর্বভারতীয় সভাপতি সরকারি কাজকর্মে নাক গলিয়ে অনাধিকারচর্চা করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
অটলবিহারী বাজপেয়ির কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “বাজপেয়িজি বিজেপির লোক হলেও নিরপেক্ষ এবং ভারসাম্যপূর্ণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। তাই আমরা যখন তার অধীনে কাজ করেছি তখন কোনও অসুবিধা হয়নি। কিন্তু, আজ কেন অসুবিধা হচ্ছে? এরজন্য অবশ্য আমি প্রধানমন্ত্রীকে দোষ দিতে চাই না। তবে কেন তারা সবার জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে তা তার দলেরই দেখা উচিত বলে মনে করি।”
এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ডাকা সরকারি বৈঠকে অমিত শাহের উপস্থিত থাকার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মমতা বলেন, “কীভাবে একজন রাজনৈতিক দলের সভাপতি মন্ত্রীর ডাকা সরকারি বৈঠকে যেতে পারেন? কে প্রধানমন্ত্রী মোদি না শাহ ? দেশে যেভাবে একনায়কতন্ত্রের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তা দেখে আজ সবাই ভয় পাচ্ছেন?”
নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কে ভালো কথা বললেও বিজেপি বিরোধিতা থেকে সরে আসার কোনও ইঙ্গিত তিনি দেননি। বরং বলেন, “বিরোধীরা একজোট হয়ে ২০১৯ সালে পরিবর্তন আনবেই। এখনও পর্যন্ত কোনও ফ্রন্ট তৈরি না হলেও আগামী ছ’মাসের মধ্যেই চিত্রটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।”
এমটিনিউজ/এসএস