আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের প্রতি যদি শ্রদ্ধা দেখানো না হয়, তাহলে ১৯৭১ সালের মতো আরো একটি বিভাজনের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান’ শুক্রবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টকে একহাত নিয়ে এ মন্তব্য করেন সদ্য ক্ষমতাচ্যুত পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।
নওয়াজ ও তার রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) বিচারবিভাগ বিরোধী কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না বলে লাহোরের হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা জারির একদিন পর বিস্ফোরক এই মন্তব্য এল সাবেক পাক প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে।
পরিবারের সদস্য ও তার বিরুদ্ধে পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে তদন্ত সংশ্লিষ্ট দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলোরও সমালোচনা করেন নওয়াজ শরিফ বলেন, আরো একটি ১৯৭১ দেখবে পাকিস্তান।
তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে এটাই প্রথম যে, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা ইন্টার সার্ভিস ইনটেলিজেন্স (আইএসআই) ও মিলিটারি ইনটেলিজেন্স (এমআই), যৌথ তদন্ত সংস্থার (জেআইটি) সঙ্গে এমন একটি ব্যাপারে তদন্ত করেছেন; যা সন্ত্রাসবাদ এবং জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত নয়।
আইনজীবীদের এক সমাবেশে ৬৭ বছর বয়সী নওয়াজ বলেন, গত ২৮ জুলাই তাকে অযোগ্য ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত জনগণ মেনে নেয়নি। দেশের ইতিহাসে সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্ত ‘জঘন্য রায়’ হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ক্ষমতাচ্যুত পাক প্রধানমন্ত্রী শরিফ বলেন, দেশের ৭০ বছরের ইতিহাসে ১৮ জন প্রধানমন্ত্রীকেই বিদায় করে দেয়া হয়েছে তাদের মেয়াদ শেষের আগেই। এটা এখনই থামাতে হবে। ব্যালটের প্রতি আমাদের সম্মান অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
নওয়াজ বলেন, ‘যদি মানুষের ভোটের প্রতি সম্মান দেখানো না হয়; তাহলে আমার ভয় হচ্ছে যে, ১৯৭১ সালের মতো আরো একটি বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে পারে পাকিস্তান। যখন পাকিস্তান দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়।’ এই সমস্যার সমাধান ছাড়া পাকিস্তান সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে না- যোগ করেন তিনি।
নওয়াজ বলেন, ‘রায়ের পর যদিও আমি পদত্যাগ করেছি, তারপরও এই রায় আমি এমনকি পাকিস্তানের জনগণও মেনে নেয়নি। আমার লক্ষ্য হলো, গণতন্ত্রের যাত্রাকে বিপথগামী করতে ও নির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে ক্ষমতাচ্যুত করে বাড়িতে পাঠানোর প্রক্রিয়াকে চিরতরে বন্ধ করে দেয়া।’
এমটিনিউজ/এসএস