শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৭, ১১:১১:১৯

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কীভাবে দেশ ছেড়ে পালালেন?

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কীভাবে দেশ ছেড়ে পালালেন?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক শিনাওয়াতের বিরুদ্ধে যখন একটি দুর্নীতির মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার কথা, তখন তিনি দেশ ছেড়ে পাড়ি জমান দুবাইতে।

একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, যাকে কিনা সবসময় নজরদারিতে রাখে সরকারের গোয়েন্দাবাহিনীগুলো, তিনি কীভাবে দেশ ছেড়ে পালালেন সে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। খবর বিবিসির।

শুক্রবার দুর্নীতির মামলায় তার আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার দল পিউই থাই পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয় তিনি দেশে নেই। আদালতে হাজির হতে ব্যর্থ হওয়ায় ইংলাক শিনাওয়াতের জামিন স্থগিত করে দেয়া হয়। বিচারকরা এই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ২৭ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছেন।

মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে ইংলাক শিনাওয়াতের দশ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে এবং রাজনীতিতে তিনি নিষিদ্ধ হতে পারেন। ইংলাক শিনাওয়াতের ভাই থাইল্যান্ডের আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন শিনাওয়াতও দুবাইতে থাকেন। তিনিও ২০০৮ সালে দুর্নীতির মামলায় সাজা থেকে পালাতে দুবাইতে চলে যান।

কিন্তু কীভাবে ইংলাক শিনাওয়াত একটি মামলার রায় ঘোষণার আগে দেশ থেকে বেরিয়ে গেলেন সে প্রশ্নের উত্তর পুলিশ দিতে পারছে না। পুলিশের একজন কর্মকর্তা দাবি করছেন, তিনি যে দেশ ছেড়েছেন সেরকম কিছু তাদের রেকর্ডে নেই।

তবে থাইল্যান্ডে এটা ওপেন সিক্রেট যে দেশটির সামরিক সরকার আসলে চাইছিলো ইংলাক শিনাওয়াত দেশ ছেড়ে চলে যান। কারণ তাকে এই মামলায় সাজা দিয়ে জেলে ঢোকানো হলে, জনগণের সহানুভূতি তার পক্ষে যাবে বলে মনে করা হচ্ছিল।

ইংলাক শিনাওয়াত অবশ্য অতীতে বার বার বলেছেন যে তিনি দেশ ছেড়ে পালাতে চান না। ধারণা করা হচ্ছে, থাইল্যান্ডের সামরিক সরকার হয়তো তার বিদেশ যাত্রা আটকাতে চায়নি। সে কারণেই তিনি দেশ ছাড়তে পেরেছেন।

২০১১ সালে ইংলাক শিনাওয়াত থাইল্যান্ডের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হন। কিন্তু ২০১৫ সালে চালে ভর্তুকি দেয়ার এক প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে তাকে ক্ষমতাচ্যূত করে সামরিক বাহিনী সমর্থিত সংসদ।

এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে