সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৭, ০৬:৪০:৩৮

ভন্ডবাবার পরে কে হবেন ডেরা প্রধান? মারামারির আশঙ্কা!

ভন্ডবাবার পরে কে হবেন ডেরা প্রধান? মারামারির আশঙ্কা!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : হরিয়ানায় ডেরা সচ্চা সওদার প্রধান, ধর্মীয় গুরু ভন্ডবাবা গুরপ্রীত রাম রহিম সিংহের ১০ বছরের জেল হওয়ার পর কে ডেরার প্রধান হবেন, তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে।

আবার কোনও বাবা আসবেন নাকি কোনও মা আসবেন, তা এখন ঠিক হবে। দৌড়ে রয়েছেন অনেকেই। ফলে আশঙ্কা রয়েছে ঝামেলার। প্রশাসনের ধারণা, ৭০০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক বাবার জায়গায় আসার জন্য নিজেদের মধ্যে মারামারিও করতে পারেন সম্ভাব্য উত্তরসূরীরা।

হানিপ্রীত ইনসান : ভন্ডবাবা রাম রহিমের দত্তক কন্যা হানিপ্রীতই নাকি দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন ডেরা সচ্চা সওদার প্রধান হওয়ার জন্য। হানিপ্রীত রাম রহিমের ছবি বানানোর কাজেও সাহায্য করেছেন। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে যখন হেলিকপ্টারে করে রাম রহিমকে জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন হানিপ্রীতই বাবার সঙ্গে ছিলেন। তিনি নাকি জেলেও রাত কাটাতে চান বাবার সঙ্গে।

জসমিত সিং ইনসান : রাম রহিমের নিজের ছেলে জসমীতও রয়েছেন এই দৌড়ে। এক ভাবে দেখতে গেলে, বাবার উত্তরসূরী হিসেবে তিনিই প্রধান দাবিদার ডেরা প্রধান হওয়ার জন্য। ২০০৮ সালে সিবিআই যখন রাম রহিমের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে, তখনই তিনি জসমিতকে নিজের উত্তরসূরী হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জসমীতের ডেরা প্রধান হওয়া সহজ হবে না। তিনি একজন ব্যবসায়ী। কংগ্রেস নেতা হরমিন্দর সিংহের মেয়েকে বিয়ে করেছেন জসমিত।

গুরু ব্রহ্মচারী বিপাসনা : এই মহিলাকে ডেরার সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড হিসেবে দেখা হয়। তিনি একেবারে নিচু তলা থেকে উঠে এসেছেন ডেরার শীর্ষ স্তরে। তিনিই সিরসাতে বাবার ডেরার প্রধান কার্যালয়ের পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁকে 'নাম্বারদার' বলে ডাকা হয়। তিনি রক্তদান শিবির থেকে শুরু করে বহু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজক হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন ডেরার শিষ্যদের মধ্যে।

আমনপ্রীত ইনসান ও চরণপ্রীত ইনসান : এঁরা দু'জনেই হলেন রাম রহিমের নিজের মেয়ে। যদিও তারা দু'জনেই এখন বিবাহিত। তবু তারাও দাবিদার ডেরা প্রধান হওয়ার ক্ষেত্রে। এরা 'পাপা'স অ্যাঞ্জেল' হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন। কিন্তু ডেরায় তাদের উল্লেখযোগ্য কোনও অবদান এখনও দেখা যায়নি।

এমনও হতে পারে রাম রহিমই ডেরার প্রধান রয়ে গেলেন ও জেল থেকে আশ্রমের কাজ সামলাবেন। এর আগে ১৯৪৮ সালে ডেরা প্রতিষ্ঠার পর কোনও প্রধান নিজের পরিবারের কারও হাতে ডেরার দায়িত্বভার দিয়ে যাননি।

এমটিনিউজ২৪/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে