শুক্রবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৪:১৪:২৫

সারারাত চিৎকার করে কাঁদছেন রামরহিম 'কী ভুল করেছি আমি?'

সারারাত চিৎকার করে কাঁদছেন রামরহিম 'কী ভুল করেছি আমি?'

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হাজতবাসের পর তিনি এমন ভাব করছেন যেন তাকে 'লঘু পাপে গুরু দণ্ড' দেওয়া হয়েছে! কখনও কাঁদছেন, কখনও নাকি চিৎকার করে বলছেন, "কী করেছি আমি? আমার ভুলটা কোথায়?"

রোহতকের সুনারিয়া জেলের কয়েদিরা নাকি প্রতি রাতেই এই কথাগুলো শুনছেন। জেলের যে সেল থেকে কথাগুলো ভেসে আসছে, সেখানে সদ্য সাজা পেয়ে এসেছেন নতুন এক কয়েদি। তিনি আর কেউ নন, হরিয়ানার 'ভন্ডবাবা' গুরমিত রাম রহিম।

'বাবা'র পাশের সেলেই ছিলেন দলিত নেতা স্বদেশ কারার। জেল থেকে সদ্য মুক্তি পেয়েছেন তিনি। স্বদেশ জানান, সারা দিন যেমন তেমন ভাবে কাটলেও, রাতে যেন বাবার আচরণ সম্পূর্ণ বদলে যায়। সারা রাত ধরে চিৎকার করতে থাকেন সেলের ভিতর। ঠিক করে ঘুমোচ্ছেন না, খাচ্ছেন না। শুধু প্রলাপ বকে যাচ্ছেন, তিনি কী এমন করেছেন যে তাকে এমন সাজা দেওয়া হল!

যে রাম রহিমের বিরুদ্ধে সম্ভ্রমহানীর অভিযোগ উঠেছে, যে রাম রহিমের জন্য হরিয়ানা-পাঞ্জাব জ্বলেছে, ৩৮টা মানুষের প্রাণ গিয়েছে, সেই রাম রহিমই জেলের ভিতরে বসে বলছেন, কী দোষ তার! জেলের অন্য কয়েদিরাও তার এমন ভনিতায় অবাক।

স্বদেশ জানান, জেলের নিয়ম অনুযায়ী অন্য কয়েদিদের মতোই রাখা হয়েছে রাম রহিমকে। বিলাসবহুল জীবন থেকে সোজা এসে পড়েছেন জেলের ছোট সেলে। যেখানে নেই এসি, নেই আরামদায়ক বিছানা, নেই কোনও স্বাচ্ছন্দ্যও। এটা যেন কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি। এমনকী তার বর্তমান পরিচয়, কয়েদি নম্বর ১৯৯৭, এতেও প্রবল আপত্তি 'বাবা'র!

দুই শিষ্যার সম্ভ্রমহানীর মামলায় অভিযুক্ত হয়ে গত ২৮ অগস্ট ২০ বছরের সাজা হয়েছে তার। বিলাসবহুল জীবন থেকে তার ঠাঁই এখন রোহতকের সুনারিয়া জেলের ছোট্ট একটা কুঠুরিতে। সর্বক্ষণ পাহারায় রয়েছে চার কারারক্ষী।
এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে