আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হনিপ্রীতকে নিয়েই জেলে থাকার সাধ ছিল বাবার। কিন্তু বিপদের সময়ে সেই পালিত মেয়েই হয়ে গেলেন বেপাত্তা। রাম রহিম সিংয়ের পালিত মেয়ে হনিপ্রীতের বিরুদ্ধেই এবার লুকআউট নোটিশ জারি করলো পুলিশ।
এই হনিপ্রীতের সঙ্গে বাবার আসল সম্পর্ক নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা জল্পনা ছড়িয়েছে। পালিত মেয়ের সঙ্গে রাম রহিমের সম্পর্ক যে নিছক বাবা-মেয়ের মতো সরল নয়, এমন অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই।
বাবার সাজা ঘোষণা হওয়ার দিন আগাগোড়া বাবার সঙ্গে থেকে আনুগত্যের প্রমাণ দিয়েছিলেন হনিপ্রীত। শুধু তাই নয়, আদালত এবং প্রশাসনের কাছে বাবার আবদার ছিল, তার সঙ্গে জেলে হনিপ্রীতকেও থাকতে দিতে হবে।
বাবার সেই আবদার পূরণ তো হয়নি, উল্টে হনিপ্রীতের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা, হিংসায় উস্কানি এবং ষড়যন্ত্রের মতো গুরুতর অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে হরিয়ানা পুলিশ। গত শুক্রবার ভন্ডবাবা আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরেই হরিয়ানা-সহ উত্তর ভারতে ডেরা সচ্চার অনুগামীরা যে তাণ্ডব চালিয়েছিলেন, সেই মামলাতেই হনিপ্রীতের বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলি দায়ের হয়েছে।
অভিযোগ, ইশারায় হনিপ্রীতই বাবার ভক্তদের হিংসা ছড়ানোর সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, বাবাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার ছকও তিনি কষেছিলেন বলে অভিযোগ পুলিশের।
পরিস্থিতি ঘোলাটে বুঝেই হনিপ্রীত গা ঢাকা দিয়েছেন। যদিও, তিনিই বাবার হয়ে উচ্চতর আদালতে মামলা করার হুমকি দিয়েছিলেন। আপাতত হনিপ্রীতকে ধরতে দেশের সমস্ত বড় বাস স্ট্যান্ড, রেল স্টেশন, বিমানবন্দরে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে পুলিশ।
একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকের খবর অনুযায়ী, হনিপ্রীত গা ঢাকা দিয়েছেন বলেই মনে করছেন কেউ কেউ। কারও কারও আবার ধারণা, হরিয়ানার রোহতকে কোনো বিশ্বস্ত ডেরা অনুগামীর বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছেন হনিপ্রীত।
শুধু রাম রহিম নন, ডেরার মুখপাত্র আদিত্য ইনসানের বিরুদ্ধেও দেশদ্রোহিতার অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। হনিপ্রীতের মতো আদিত্য ইনসানও পলাতক।
এমটিনিউজ/এসএস