আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ঈদুল আযহা ত্যাগের উৎসব৷ আত্মত্যাগের এই দিনে পরস্পরকে আলিঙ্গন করেই শুভেচ্ছা জানান ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা৷ দীর্ঘদিনের রীতি৷ এই আলিঙ্গনেই পারস্পরিক বন্ধন যেন সুদৃঢ় হয়৷ অথচ সেই আলিঙ্গনেই বাদ সাধছেন খোদ ইমাম৷ ভারতের উত্তরপ্রদেশে এই মর্মে চলছে প্রচারও৷
জানা যাচ্ছে, উৎসবের আনন্দে থাবা বসিয়েছে সোয়াইন ফ্লু৷ ইতিমধ্যেই সে রাজ্যে প্রায় ৬৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন এই রোগের প্রকোপে৷ সংখ্যা আরও বেশি হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই৷ ক্রমশ মহামারির আকার নিচ্ছে এই রোগ৷ এই পরিস্থিতিতে পারস্পরিক আলিঙ্গনে তা আরও দ্রুত ছড়াতে পারে৷ অথচ ঈদে রীতি মেনে মুসলিমরা তা করবেনই৷
এ নিয়েই চিন্তায় পড়েন ইমাম সাহেবরা৷ শেষমেশ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ঈদে শুভেচ্ছা বিনিময় হবে ঠিকই, কিন্তু কোনওরকম আলিঙ্গন নয়৷ শুক্রবার প্রায় সবক’টি মসজিদ থেকে এই বার্তা প্রচার করা হয়৷ সেইমতো বহু মানুষই পরস্পরকে মুখে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন৷ কিন্তু আলিঙ্গনাবদ্ধ হচ্ছেন না৷
ঈদের চেনা ছবিতে তাই এবার যেন একটু বদল৷ পরিবর্তন অন্য এক বিষয়েও৷ নিজেদের মধ্যে যত মতবিরোধই থাক না কেন, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এই ব্যাপারে একমত হয়েছেন মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষরা৷ সাধারণভাবে মুসলিমরা ধর্মপ্রাণ হিসেবেই পরিচিত৷ নিজেদের রীতি ও প্রথা পালন করতে তারা অঙ্গীকারবদ্ধ থাকেন৷
এতদিনের আলিঙ্গনের রীতি তারা তাই ভাঙলেন কীভাবে? মৌলানা খালিদ রশিদ জানিয়েছেন, ধর্মীয় রীতি পালনের থেকেও অনেক জরুরি মানুষের জীবন বাঁচানো৷ তাই ভিড় থেকে মানুষকে দূরে থাকারও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে৷ এমনকী এই জমায়তকে উদ্দেশ্য করে সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধক নেওয়ার বার্তাও প্রচার করা হচ্ছে৷
কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত?