রবিবার, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৯:৩৭:৩১

গরু কোরবানি দেয়ার অভিযোগে ভারতে তিনটি বাড়িতে আগুন

গরু কোরবানি দেয়ার অভিযোগে ভারতে তিনটি বাড়িতে আগুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শনিবার ঈদের দিনে ফের গো-রক্ষকদের তাণ্ডব দেখা গেল ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে। গিরিডি জেলায় গো-হত্যার অভিযোগ তুলে একই ব্যক্তির তিনটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দা। আতঙ্কে এলাকা ছাড়া রহমান মইন নামে ওই ব্যক্তি। ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ।

ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলার নাইতণ্ড গ্রাম। এই গ্রামের বাসিন্দা রহমান মইনের আর্থিক অবস্থা যথেষ্ট ভালো। গ্রামেই তার তিন-তিনটি বাড়ি।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, শনিবার সকালে ঈদ উপলক্ষে তিনটি গরু কোরবানি দেন রহমান মইন। পরে গ্রামবাসীদের মধ্যে গরুর গোশত বিতরণ করা হয়। আর এতেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। রহমান মইনের তিনটি বাড়িতেই আগুন লাগিয়ে দেন গ্রামবাসীরা। সংঘর্ষে আহত অল্প-বিস্তর আহত চারজন। ঘটনার পর আতঙ্কে পালিয়ে যান রহমান মইন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশকর্মীরাই আগুন নিভিয়ে ফেলেন।

ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গিরিডির পুলিশ সুপার অখিলেশ বি ভারিয়ার জানিয়েছেন, রহমান মইনের বাড়ির থেকে গরুর মাংস ও হাড় উদ্ধার হয়েছে। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। তবে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে গ্রামে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ বছর ঈদের আগে গরু জবাইয়ে নিষেধাজ্ঞা কথা জানিয়ে রাজ্যজুড়ে জোর প্রচার চালিয়েছিল ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সরকার। তবে ঝাড়খণ্ডে গরু নিয়ে হিংসা ঘটনায় অবশ্য এই প্রথম নয়। গত ৩০ জুন রামগড়ে গরুর গোশত বহন করার অভিযোগে এক যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠে। ঘটনায় স্থানীয় এক বিজেপি নেতা-সহ তিন গ্রেফতার করা হয়।


'গলায় ফাঁস লেগে' বাছুরের মৃত্যু, মহিলাকে ৭ দিন গ্রামে ভিক্ষা করতে বলল পঞ্চায়েত!

এদিকে ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভিন্দে ‘দুর্ঘটনাবশত’ একটি বাছুরের মৃত্যুর জন্য এক মহিলাকে গঙ্গা স্নান করে শুদ্ধ হতে এক সপ্তাহ ভিক্ষা করে টাকা তোলার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত।
ঘটনাচক্রে বাছুরটির মালিক কমলেশ শ্রীবাস নামে ওই মহিলা।

তার দাবি, শুক্রবার সকালে তিনি বাছুরটিকে তার মায়ের কাছ থেকে আলাদা করার চেষ্টা করছিলেন। আচমকা বাছুরটি গলায় দড়ির ফাঁস লেগে মারা যায়। খবরটা জানাজানি হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সভা বসে স্থানীয় নাই সম্প্রদায়ের পঞ্চায়েতের। তারা কমলেশকে নির্দেশ দেয়, ভিন্দ ছেড়ে তাকে আশপাশের গ্রামে সাতদিন ভিক্ষা করে টাকা নিয়ে আসতে হবে।

এদিকে কমলেশ ও তার পরিবার যে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা, তার পুর প্রতিনিধি মুকেশ গর্গ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি পঞ্চায়েতের ফতোয়ার বিরোধিতা করলেও কেউ কান দেয়নি। মৃত বাছুরটি ওই মহিলার এবং ঘটনাটি অনিচ্ছাকৃত, স্রেফ দুর্ঘটনা বলে জানান মুকেশও। সাজা ঘোষণার ২৪ ঘন্টা পরও ওই মহিলা বাড়ি ফেরেননি বলে জানান তিনি।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে